লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়

লিভারে চর্বি খুবি জমা খুবি খারাপ।খেয়াল না করলে সময়ের সাথে সাথে এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবি ক্ষতিকর হয়ে দাড়াই।আমাদের অনেকের মধ্যে লিভারের চর্বি জমার লক্ষন প্রকাশ পাওয়ার পরেও তারা খেয়াল করেন না।আবার অনেক মানুষ জানতে চান যে, লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়? তাই এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় সেই বিষয় গুলা তুলে ধরব।
লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়
তাই আপনি যদি লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় জানতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।

ভূমিকা

সাধারণত লিভারে চর্বি জমলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষাই এটিকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়ে থাকে।মূলত মানব শরীরে এটি একটি গুরুতর সমস্যা বলে মনে করা হয়।এটি তখন ঘটে যখন মানব শরীরে লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি জমতে শুরু করে।এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তেমন কোনো লক্ষণ সৃষ্টি না করলেও।সময়ের সাথে সাথে এটি নানা ধরনের জটিলতার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।

তাই এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমি লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় সেই বিষয় গুলা তুলে ধরব।তাই সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ফ্যাটি লিভারের প্রকারভেদ

সাধারণত লিভারে চর্বি জমার দুইটি প্রধান ধরন রয়েছে। আমি নিচে সেই প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করছি।যেমন,

  • অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভার
  • অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার
আমি উপরে ফ্যাটি লিভারের দুইটি প্রকারভেদ উল্লেখ করেছি। সেই প্রকারভেদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভার

আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছেন যারা প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য এবং মদ্যপান করেন। প্রতিটা জিনিস আপনি যদি মাত্রাদিক সেবন করেন তাহলে সেটি আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে আপনি যদি অতিরিক্ত করেন তাহলে খুব সহজে আপনার লিভারে চর্বি জমে যায়।

অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার

দ্বিতীয়তঃ আপনি যদি আলকোহল অথবা মদ পান না করেন তাহলেও আপনার লিভারে চর্বি জমা শুরু হতে পারে। এর প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে দেখা যায় যে, যে ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পায় অথবা অতিরিক্ত ওজন থাকে তাদের ক্ষেত্রে লিভারে চর্বি জমার সমস্যা দেখা দেয়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস অথবা উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো সমস্যার কারণেও লিভারে চর্বি জমতে পারে।

ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

আমরা তো ওপরে ফ্যাটি লিভারের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানলাম। এবার চলুন ফ্যাটি লিভারের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। মূলত ফ্যাটি লিভার যখন প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন কোনো প্রকার লক্ষণ সৃষ্টি নাও করতে পারে। তারপরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়। লক্ষণ গুলি আমি নিচে উল্লেখ করছি। যেমন,
  • মাথাব্যথা হওয়া
  • আচমকা কাঁপুনি
  •  বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে
  • দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব হওয়া 
  • পেটের উপরের ডান দিকে ব্যথা হওয়া 
  • হটাত করে ওজন কমে যাওয়া
  • মনের অস্বস্তি ও বিষণ্নতা
মূলত লিভারের চর্বি জমার লক্ষণ অথবা সহজ ভাষায় ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে উপরের লক্ষণগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। যদি উপরের লক্ষণ গুলা আপনার শরীরে প্রকাশ পায় তাহলে খুব দ্রুত একটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী লিভারের চর্বি পরীক্ষা করে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

লিভারে চর্বি জমার কারণ

ওপরের অংশে আমরা লিভারের চর্বি জমার লক্ষণ এবং লিভারের চর্বি জমার প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনেছি। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ঠিক কি কি কারণে লিভারে চর্বি জমতে পারে। লিভারে চর্বি জমার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেমন,

অতিরিক্ত মদ্যপান

মদ বা অ্যালকোহল আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ঠিক কতটা ক্ষতিকর তা জানা সত্ত্বেও আমরা এটি পান করে থাকি। আর এই মাত্রাধিক মদ পান করার জন্য আমাদের লিভারে চর্বি জমা শুরু হয়। সাধারণত লিভারে চর্বি জমার প্রধান কারণ অ্যালকোহল এবং মদ্যপান।

ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা

আমরা হয়তো অনেকে জানিনা যে, আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে চর্বি জমা শুরু হয়ে যায়। আমাদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে শুরু হয়। মূলত ওজন বৃদ্ধি আমাদের শরীরের লিভারে চর্বি জমার সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করে তোলে।

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস এর সমস্যায় আমাদের সমাজের কম বেশি অনেক মানুষই ভোগেন। বিশেষ করে মাস বয়সের পর থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা শুরু হয়ে থাকে। লিভারে চর্বি জমার প্রথম টাইপে ডায়াবেটিস কোন সমস্যার কারণ হয় না। কিন্তু টাইপ ২ তে ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি খুব বেশি পরিমাণে দেখা যায়।

উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ কোলেস্টেরল

উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুতর সমস্যা। যুবক বয়স থেকে শুরু করে প্রায় সকল বয়সের মানুষেরাই উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগেন। এই সমস্যা থাকার কারণে আমাদের শরীরে লিভারের চর্বি জমার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল লিভারের চর্বি জমার কারণ হতে পারে।

লিভারে চর্বি জমার সমস্যা

মূলত লিভারে চর্বি জমলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সমস্যাগুলো সম্পর্কে নিচে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। যেমন,

লিভারের প্রদাহ (Hepatitis)

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না আমাদের লিভারে চর্বি জমে গেলে লিভার প্রদাহ অথবা হেপাটাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। আর প্রদাহের ফলে আমাদের শরীরের লিভারের কোষ ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে শুরু করে। পরবর্তীতে এটি দীর্ঘমেয়াদে লিভারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

সিরোসিস (Cirrhosis)

আপনি যদি সমস্ত লক্ষণ সম্পর্কে অবগত থাকার পরেও কোন ধরনের চিকিৎসা না করেন তাহলে সেটি সিরোসিসে রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে। মূলত সিরোসিস হলো এমন একটি সমস্যা যেটি দেখা দিলে লিভারের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফাইব্রোসিসে রূপান্তরিত হয়ে যায়।যা পরবর্তীতে লিভারের কার্যক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়।

লিভার ফেইলিউর

আমরা হয়তো অনেকেই জানি না যে, যখন আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ঠিক তখনই লিভার ফেইলিউর এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এটি একটি জীবন সংকটজনক অবস্থা বলে মনে করা হয়। সহজ কথায় যদি সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে না।

হেপাটোসেলুলার কার্সিনোমা (Liver Cancer)

আমাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের বহুদিন ধরে লিভারে চর্বি জমে আছে। লিভারে চর্বি জমা থাকার পরেও তারা কোন প্রকারের চিকিৎসা গ্রহণ করছেন না। আর ঠিক দীর্ঘদিন লিভারে চর্বি জমে থাকলে লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রচন্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। মূলত যদি কোন লিভারে চর্বি জমে থাকা ব্যক্তির সিরোসিস হয় তাহলে তার লিভার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে।

প্রতিরোধের উপায়

উপরের অংশে অনেক কিছু বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিলাম। চলুন এবার লিভারের চর্বি প্রতিরোধ করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি আপনার লিভারে চর্বি জমা প্রতিরোধ করতে চান তাহলে নিচে তুলে ধরা তথ্যগুলো অনুসরণ করতে পারেন। যেমন,

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

শরীর সুস্থ রাখতে সঠিক খাদ্যা অভ্যাস অথবা স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে লিভারের চর্বি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যা অভ্যাস তৈরি করা খুবই জরুরী। যার কারণে আপনি কম চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার লিভারের চর্বি জমা কমতে শুরু করবে। এর পরবর্তীতে আপনি প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি,ফলমূল এবং সম্পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে তেল যুক্ত খাবার অথবা ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।

নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম

ব্যায়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ব্যায়াম শরীরের চর্বি কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের হাটবেন এবং পারলে হালকা ব্যায়াম করবেন। এতে করে আপনার লিভারের চর্বি নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করবে। শরীরের চর্বি জমানোর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্যায়াম করা। তাই আপনি অবশ্যই ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন।

মদ্যপান থেকে বিরত থাকা

আমরা সকলেই জানি অ্যালকোহল অথবা মদ্যপান আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকর। তাই আপনার লিভারের চর্বি কমাতে অবশ্যই অবশ্যই মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত মদ্যপান আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ

লিভারের চর্বি কমাতে আমাদের শরীরের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরী। আপনি যদি লিভারের চর্বি কমানোর কার্যকরী উপায় খোঁজেন তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুষম খাদ্য অভ্যাস তৈরি করুন। সুষম খাদ্য অভ্যাস তৈরি করার পাশাপাশি বসে না থেকে শারীরিক পরিশ্রম করুন যাতে করে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাহলে আশা করি আপনার লিভারের চর্বি নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ

যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।তাই নিয়মিত চেকআপ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনুন।এতে করে আপনার লিভারের চর্বি কমতে শুরু করবে। 

চিকিৎসা পদ্ধতি

ফ্যাটি লিভার চিকিৎসার জন্য বিশেষ কোনো ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় না।তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করলে লিভারের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।আমি নিচে সেই উপায় গুলা তুলে ধরছি।যেমন,

খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন

শরীর সুস্থ রাখতে বলেন আর লিভারের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেন খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই। আপনি যদি সঠিক ডায়েট প্ল্যান তৈরি করেন। তার পাশাপাশি উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার পরিহার করেন অথবা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। আর বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন তাহলে খুব সহজে আপনি লিভারের চর্বি কমাতে পারবেন। তাই আমি বলব লিভারের চর্বি কমাতে অবশ্যই সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলুন।

ব্যায়াম ও ফিটনেস রুটিন

ব্যায়াম আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি লিভারের চর্বি কমাতে ব্যায়াম করার পাশাপাশি ফিটনেস রুটিন মেনে চলুন। চর্বি কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায় হচ্ছে ব্যায়াম করা। তাই আপনি আপনার লিভারের চর্বি কমাতে অবশ্যই উপায়টি মেনে চলুন।

ওষুধ ও পরামর্শ

লিভারের চর্বি কমানোর বেশ কয়েকটি ওষুধ রয়েছে। আপনি চাইলে লিভারের চর্বি কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। মূলত যাদের উচ্চ রক্তচাপ অথবা কোলেস্টেরল মত সমস্যা রয়েছে।তাদের ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

লিভারের যত্নে সাধারণ টিপস

  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন
  • তেল এবং মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
  • মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
  • স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অবশ্যই ব্যায়াম করুন
  • সঠিক খাদ্যা অভ্যাস তৈরি করুন

লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় সম্পর্কিত সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ লিভারের চর্বি বাড়লে কি হয়?
উত্তরঃ লিভার ক্যান্সার ও সিরোসিস।

প্রশ্নঃ লিভার ফুলে গেলে কি হয়?
উত্তরঃ যেমন,
  • লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত 
  • পোর্টাল উচ্চ রক্তচাপ
  • এছাড়াও গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে
প্রশ্নঃ লেবু খেলে কি লিভারের চর্বি কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই।

প্রশ্নঃ কলা কি লিভারের জন্য ভালো?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই।

প্রশ্নঃ লিভার বড় হলে কতদিন বাঁচতে পারে?
উত্তরঃ ৯ থেকে ১২ বছর।

প্রশ্নঃ লিভারের পরীক্ষার নাম কি?
উত্তরঃ সেরোলজিক্যাল ডায়াগনস্টিক।

প্রশ্নঃ লেবু কি লিভারের জন্য ক্ষতিকর?
উত্তরঃ অবশ্যই না।

প্রশ্নঃ কলা কি লিভারের জন্য ভালো?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই।

প্রশ্নঃ লিভার ফুলে গেলে কোন ঔষধ ভালো?
উত্তরঃ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।

প্রশ্নঃ লিভারের স্বাভাবিক আকার কত?
উত্তরঃ হিলাদের জন্য ৭ সেমি এবং পুরুষদের জন্য ১০.৫ সেমি।

প্রশ্নঃ লিভারের রোগের জন্য কোন ঔষধ ভালো?
উত্তরঃ Prednisolone।

প্রশ্নঃ লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা কত?
উত্তরঃ ৯ থেকে ৪৮  U/L।

প্রশ্নঃ লিভার ইনফেকশন চেনার উপায়?
উত্তরঃ রক্ত পরীক্ষা।

লেখকের মন্তব্য

এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে আমি লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় সেই বিষয়ে সকল তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। লিভারে চর্বি জমার সমস্যা প্রথমদিকে তেমন জটিল না হলেও, সময়ের সাথে সাথে এটি লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করার সাথে সাথে জীবন সংকটজনক অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হয়।তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম এবং মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন।

সম্পূর্ণ পোস্ট যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। সর্বশেষ এই রকম নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে জানতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url