প্রেশার হাই হলে করনীয় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

সাধারণত শরীরে অধিক রক্তচাপ বেড়ে গেলেই আপনারা হাই প্রেসারের সমস্যায় ভোগেন। আর এই হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য অনেক কিছু তথ্য খুঁজে বেড়ানোর পরও সঠিক তথ্য খুঁজে পান না। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি প্রেশার হাই হলে করনীয় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
প্রেশার হাই হলে করনীয় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
তাই আপনি যদি সঠিক উপায় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে আপনার হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।

ভূমিকা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে লো প্রেসারের পাশাপাশি আমরা অনেকেই হাই প্রেসারের সমস্যায় ভুগি। তবে আমাদের প্রেসার হাই হয়ে গেলে আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি। তবে আমি বলব আপনাদের কোন প্রকারের চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। হাই প্রেসার এর সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলেই এটি থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আপনারা বুঝতে পারেন না হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কি চিকিৎসা নিবেন?

তাই শুধুমাত্র আপনাদের সুবিধার খাতিরে এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি প্রেশার হাই হলে করনীয় বিষয়সহ হাই প্রেসার সংক্রান্ত সকল তথ্য আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। তাই সঠিক তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন শুরু করা যাক।

হাই প্রেসারের লক্ষণ

হাই প্রেসারের বেশ কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। যেমন,
  • শরীরে ক্লান্তি অনুভব করা
  • মাথাব্যথা করা
  • হঠাৎ করেই মাথা ঘোরানো
  • মাঝে মাঝে অজ্ঞান হয়ে পড়া
  • নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
  • বুক ধরফর করা
  • বমি বমি ভাব অথবা বমি হওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • মতিভ্রম
  • বয়স্কদের ক্ষেত্রে গা কাঁপা
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা এবং নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে
মূলত একজন হাই প্রেসার রোগীর ওপরে দেখানো লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়। যদি আপনার ওপরে লক্ষণ গুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি লক্ষণ প্রকাশ পায় তাহলে বুঝে নেবেন আপনি হাই প্রেসারে ভুগছেন।

হাই প্রেসার হওয়ার কারণ

আমরা তো উপরে জেনে নিলাম যে কি কি লক্ষণ দেখে বুঝব যে আমার হাই প্রেসার হয়েছে। হাই প্রেসারের লক্ষণ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই কি কারণে হাই প্রেসার হয় সেই বিষয়ে সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। অর্থাৎ, যে যে কারণে হাই প্রেসার এর উৎপত্তি হয় অথবা হাই প্রেসার দেখা দেয় সেই বিষয়গুলো যদি আমরা সৃষ্টি হতে না দিই তাহলে আমাদের আর হাই প্রেসারের সমস্যায় ভুগতে হবে না। হাই প্রেসার সৃষ্টি হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন,
  • প্রথমত খাবারে মাদ্রাধিক ভাবে লবণ খাওয়া
  • প্রচন্ড পরিমাণে ধূমপান করা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল এবং শাক সবজি না খাওয়া
  • রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমানোর কারণে
  • অস্বাভাবিকভাবে শরীরের ওজন বৃদ্ধি
  • প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল অথবা মদ্যপান করার কারণে
  • প্রয়োজন মোতাবেক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম না করার কারণে
  • মাত্রাধিক কফি, চা এবং ক্যাফিন যুক্ত পানীয় পান করার কারণে
  • বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার কারণে
  • সর্বশেষ পরিবারের সদস্যদের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
মূলত উপরে তুলে ধরা কারণগুলোর জন্য আমাদের শরীরে হাই প্রেসার এর মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমি বলব হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।

প্রেশার হাই হলে করনীয়

সাধারণত শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যগতিক হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়। মূলত হাই প্রেসার হলে আমাদের শরীরে স্ট্রোক এর ঝুঁকি বারার সাথে সাথে হৃদরোগের যোগীয় বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বুঝতে পারেন যে আপনি হাই প্রেসার এর সমস্যায় ভুগছেন। তাহলে তৎক্ষণাৎ চলাচল বন্ধ করে দিন। বন্ধ করে দিয়ে শান্ত হয়ে এক জায়গায় বসুন অথবা আপনি চাইলে শুয়ে পড়তে পারেন।

এতে করে আপনার শরীরে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আসবে। যদি আপনার বাসায় তেতুল থাকে তাহলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে তেতুলের রস খেতে পারেন। যদি আপনার বাসায় তেতুল না থেকে থাকে তাহলে আপনি তেতুলের পরিবর্তে লেবুর রস খেতে পারেন। এটিও আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারে পরিমাণ মতো আদা যোগ করুন। এর কারণ আদা হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি আমাদের শরীরের পেশীগুলোকে শিথিল করে তোলে। হাইপ্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে অবশ্যই অবশ্যই তেল অথবা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও খাবারে লবন খাওয়া কমিয়ে দিন। হাই প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করতে চিনি, লবণ, ঘি , তেল এবং মাখন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

হাই প্রেসার অথবা লো প্রেসার দুইটি নিয়ন্ত্রণে পানির বিকল্প কিছু নেই। মূলত পানি আমাদের শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি দিনে যত পরিমানে পারেন পানি পান করতে থাকুন। এছাড়াও আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে অবশ্যই পটাশিয়ামযুক্ত খাবারগুলো বেশি করে খান।

পটাশিয়াম যুক্ত খাবার গুলো হচ্ছে টকদই এবং ফল ইত্যাদি। আশা করি উপরে উল্লেখ করা বিষয়গুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজে আপনার হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন হাইপ্রেসার হলে কি করবেন। চলুন আরো কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়

দ্রুত হাইপ্রেসার কমানোর বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। উপায় গুলি আমি নিচে উল্লেখ করছি,
  • আপনি যদি খুবই দ্রুত আপনার হাইপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি খান। অনেক শাকসবজি রয়েছে যেগুলো সাধারণত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী। যেমন, পুঁইশাক, কলমি শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শশা, লাউ, মটরশুঁটি, বেগুন এবং টমেটো ইত্যাদি। আপনি আপনার হাইপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে অথবা কমাতে উপরের তুলে ধরা সবজিগুলো খেতে পারেন। নিয়মিত সবজিগুলো খেলে আশা করি খুব দ্রুত আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
  • দ্রুত হাই প্রেসার কমাতে আপনি পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেতে পারেন। তার কারণ পটাশিয়ামযুক্ত খাবারগুলি ব্লাড প্রেসারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • আপনি চাইলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রতিদিন একগ্লাস করে দুধ খেতে পারেন। তবে দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্যাকেটের দুধ না খেয়ে খাঁটি গরুর দুধ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে তাড়াতাড়ি কাজ হবে।
  • হাই প্রেসার কমানোর জন্য ফল খাওয়া খুবই কার্যকরী উপায় হতে পারে। হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনি চাইলে বেদেনা, আমলকি, পেঁপে, নাশপাতি এবং পেয়ারা নিয়মিত খেতে পারেন। এতে করে এই ফলগুলি আপনার শরীরে ব্লাড প্রেসারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
  • দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত যুক্ত মাছ না খেয়ে, ছোট ছোট বিভিন্ন প্রকারের মাছ খেতে পারেন। নিয়মিত ছোট মাছ খেলে খুব দ্রুত হাই প্রেসার কমতে শুরু করবে।
  • সর্বশেষ হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ব্যায়াম করা খুবই জরুরী। তাই আপনি আপনার হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করুন এবং আপনার খাদ্য অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মূলত আপনি যদি খুবই দ্রুত আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাহলে উপরে তুলে ধরা বিষয়গুলো মেনে চলতে পারেন। উপরের তুলে ধরা বিষয়গুলো মেনে চললে আশা করি আপনি খুব দ্রুত আপনার হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন।

হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

আমি উপরে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিয়মাবলী উল্লেখ করেছি। এখন আমি হাই প্রেসার কমানোর বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।

নিয়মিত ব্যায়াম করা

আমরা সকলেই জানি যে ব্যায়াম করা আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কতটুক উপকারী। শরীর সুস্থ রাখতে এমনকি প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম করা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে আপনি হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যায়াম করাকে বেছে নিতে পারেন। আপনি সকালে অথবা বিকালে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন।

এতে করে কি হবে আপনার শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। আপনি চাইলে শারীরিক ব্যায়াম করার পাশাপাশি একটু হাটাহাটি অথবা সাইকেল চালাতে পারেন। এতে করে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা

হাই প্রেসার এমনকি লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা খুবই জরুরী। তাই আমি বলব হাই প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয়ে গেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাই কমে যায়।

আদা

হাই প্রেসার কমাতে আপনি ঘরোয়া উপায়ে হিসেবে আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারে আদা যোগ করতে পারেন। মূলত আদা আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি আমাদের শরীরের পেশিগুলোকে শিথিল করে তোলে। তাই হাই প্রেসার কমাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আদা খাবেন।

তেল অথবা চর্বিযুক্ত খাবার

তেল অথবা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে। তেল অথবা চর্বি আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে তেলযুক্ত খাবার খেলে আমাদের শরীরের হাই প্রেসার বেড়ে যেতে পারে । তাই হাইপ্রেশন নিয়ন্ত্রণে অথবা হাই প্রেসার কমাতে তেল অথবা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সবুজ শাকসবজি

আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সবুজ শাকসবজি খুবই উপকারী। তাই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি যোগ করতে পারেন। যেমন, পুই শাক, পালং শাক, মটরশুঁটি, শসা, টমেটো, লাউ এবং কুমড়া ইত্যাদি। তাই দ্রুত হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে অবশ্যই নিয়মিত শাকসবজি খান।

লবণ

আমরা সকলে অবগত রয়েছি যে লবণ আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই যতদূর সম্ভব আপনার খাবার মেনু থেকে লবণ এর মাত্রা কমিয়ে দিন। খাবারে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিলে আশা করি খুব দ্রুত প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

তেতুল

হঠাৎ করেই আপনার হাই প্রেসার হয়ে গেছে। এখন কিভাবে আপনি খুব দ্রুত প্রেসার কমাবেন। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় হিসেবে তাৎক্ষণিক আপনি তেঁতুলের রস বানিয়ে খেতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।

লেবু

লেবু খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যদি আপনার বাসায় তেতুল না থেকে থাকে তাহলে আপনি বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লেবুর রস খেতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

প্রেশার হাই হলে করনীয় সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ হঠাৎ প্রেসার বেড়ে গেলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ বেশ কয়টি খাবার খেতে পারেন।যেমন,
  • শিমের বিচি
  • ছোলা
  • ডাল
  • সবুজ শাকসবজি
  • লাল চালের ভাত
  • লাল আটা
  • টমেটো
  • দুধ
  • দই ইত্যাদি 
প্রশ্নঃ হাই প্রেসার হলে কি খাওয়া উচিত না?
উত্তরঃ তেলযুক্ত খাবার এবং মিষ্টি জাতীও খাবার।

প্রশ্নঃ হাই প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় কি কি?
উত্তরঃ প্রচুর পরিমানে শশাকসবজি এবং পটাশিয়ামযুক্ত খাবার।

প্রশ্নঃ প্রেসার বেশি হলে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তরঃ প্রেসার বেশি হলে বেশ কিছু সমস্যা হয় যেমন,
  • মাথা ঘোরা
  • বমি হওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা
  • বুক ধড়ফড় করা
প্রশ্নঃ কি খেলে দ্রুত প্রেসার কমে?
উত্তরঃ ধনে পাতা,চিয়া এবং তিসির বীজ।

প্রশ্নঃ দুধ খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
উত্তরঃ একদমই না।

প্রশ্নঃ প্রেসার কত হলে স্ট্রোক হয়?
উত্তরঃ ১৮০/১২০ এর বেশি হলে।

প্রশ্নঃ রক্তচাপ দ্রুত বাড়ায় কোন খাবার?
উত্তরঃ লবণাক্ত খাবার।

প্রশ্নঃ মসুর ডাল খেলে কি প্রেসার বাড়ে?
উত্তরঃ মসুর ডাল খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রশ্নঃ তেতুল খেলে কি হাই প্রেসার কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই কমে।

প্রশ্নঃ আদা খেলে কি প্রেসার কমে?
উত্তরঃ হ্যাঁ অবশ্যই কমে।

লেখকের মন্তব্য

এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে প্রেশার হাই হলে করনীয় এবং হাই প্রেসার সংক্রান্ত সকল তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যেহেতু আমি তথ্যগুলো গুগলের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করেছি। সে ক্ষেত্রে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তথ্যের ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। তাই আমি বলব শুধুমাত্র আমার পোষ্টের উপর নির্ভর না করে। লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে না আসলে অবশ্যই আপনার পার্শ্ববর্তী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিবেন।

এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। এর পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url