বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমান পৃথিবীতে অনলাইনে আয় করার সব থেকে জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান।কিন্তু বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই বিষয়ে আপনার কোন ধারনা নেই।ঠিক এই কারনেই আজকের পোস্টে আমি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা নিয়ে আলোচনা করবো।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর সঠিক সেক্টর সম্পর্কে জেনে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।

ভুমিকা

বর্তমান সময়ে এসে ফ্রিল্যান্সিং আমাদের মধ্যে খুবি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ শুরু করে ভালো পরিমানে অর্থ উপার্জন করার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলছেন।ফ্রিল্যান্সিং মুক্ত পেশা হওয়ার কারণে লেখাপড়ার পাশাপাশি অবসর সময়ে করা যায়।ঠিক এই কারনে ধীরে ধীরে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর উপর নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান।

কিন্তু সঠিক এবং ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য না জানার জন্য শুরু করতে পারেন না।তাই আপনাদের সুবিধার খাতিরে এবং আপনার সঠিক তথ্য জানানোর জন্য আজকে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই বিষয়ে সকল তথ্য উপস্থাপন করব।চলুন দেরি না করে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে জেনে নিয়া যাক।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কয়েকটি সেক্টর রয়েছে যেগুলো খুবি ডিমান্ডেবল।উক্ত সেক্টর গুলোর নাম আমি নিচে তুলে ধরলাম।যেমন,
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • কনটেন্ট রাইটিং
  • মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
আমি উপরে বেশকয়টি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নাম উল্লেখ করেছি।যেই সেক্টরগুলির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।আমি এবার নিচে সেক্টরগুলি সম্পর্কে আপনাদের সংক্ষিপ্ত ধারনা দেবার চেষ্টা করব।চলুন জেনে নি।

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সকল সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল এবং জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি অথবা ব্র্যান্ডের সেবা অথবা পণ্যের প্রচারণা চালিয়ে সেগুলোর বৃদ্ধির একটি সিস্টেম। অর্থাৎ একজন ডিজিটাল মার্কেটার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা বৃদ্ধি এবং ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কাজ করে থাকে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি কাজ রয়েছে। যেমন,
  • সোশ্যাল মিডিয়া এডস 
  • এসইও
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • পে পার ক্লিক ইত্যাদি
তাই আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন তাহলে খুব সহজে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে তাদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট অথবা সেবার সেলস বৃদ্ধি করতে পারবেন। অনেক ডিজিটাল মার্কেট রয়েছে যারা প্রতি মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেশি ও উপার্জন করে থাকে। তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর একটি ডিমান্ডেবল সেক্টর হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেছে নিয়ে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

গুগলে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। আর এই নতুন ওয়েবসাইটে সেল বৃদ্ধির জন্য ডেভেলপ করা খুবই জরুরী। বর্তমানে অনেক ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা রয়েছেন যারা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে সমস্ত কিছু জেনে নেন। তাহলে আপনি খুব সহজে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে পারবেন। একজন ওয়েব ডেভেলপার বেশ কয়েকটি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে। যেমন,
  • ব্লগ ওয়েবসাইট
  • ই-কমার্স ওয়েবসাইট
  • এবং পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট ইত্যাদি
অর্থাৎ আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে খুব সহজে উপরের কাজগুলো সম্পন্ন করে উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে উপার্জন করতে চান তাহলে আপনাকে তিনটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। যেমন,
  • এইচটিএমএল(HTML)
  • জাভাস্ক্রিপ্ট(JavaScript)
  • সিএসএস(CSS)
আপনি যদি এই তিনটি বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ পেয়ে যাবেন এবং ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান)

ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টরের মধ্যে এসইও অন্যতম সেক্টর। আপনি যদি google এ কোন কিছু লিখে সার্চ করেন তাহলে গুগল আপনাকে সার্চ রেজাল্ট হিসেবে প্রায় হাজার হাজার ওয়েবসাইট দেখায়। তার মধ্যে আপনি শুরুর ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করে আপনার তথ্য সম্পর্কে জানেণ। মূলত গুগলে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ লিস্টে সবার প্রথমে আনার জন্য এসইও করা হয়ে থাকে। 

তার পাশাপাশি নতুন ওয়েবসাইট গুলোতে ট্রাফিক অথবা ভিজিটর বৃদ্ধি করার জন্যও এসিও করা হয়। আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে উপার্জন করতে চান তাহলে আপনাকে দুইটি বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হতে হয়। যেমন,
  • অন পেজ এসইও
  • অফ পেজ এসইও
  • এবং টেকনিক্যাল এসইও
এসইও যাকে সহজ ভাষায় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বলা হয়। সহজ ভাষায় একজন এসইও এক্সপার্ট ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ লিস্টে সবার প্রথমে আনার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং ভিজিটর বৃদ্ধি করে দেয়। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর খুজে থাকেন তাহলে এসইও শিখে উপার্জন শুরু করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমানে একটি ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। ধরেন, একজন একটি কোম্পানি শুরু করেছেন এখন তার কোম্পানির জন্য একটি সুন্দর এবং অ্যাট্রাক্টিভ লোগো দরকার। তার পাশাপাশি ব্যানার, পোস্টার সহ বিভিন্ন জিনিসের দরকার হয়ে থাকে। মূলত একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বেশ কয়েকটি কাজ করে থাকে। যেমন,
  • লোগো ডিজাইন
  • ব্যানার ডিজাইন
  • পোস্টার ডিজাইন
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট ডিজাইন ইত্যাদি
আপনি মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখলে উপরে তুলে ধরা কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। তবে বলে রাখি আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার মধ্যে অবশ্যই ক্রিয়েটিভিটি থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার লোগো অথবা ব্যানার যত অ্যাট্রাক্টিভ হবে ক্লায়েন্টরা ঠিক তত পছন্দ করবে।

আপনি যদি সুন্দর এবং এট্রাক্টিভ লোগো বানাতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে বেশ কয়েকটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন কে সহজ করে দেবে। যেমন,
  • Adobe Photoshop 
  • এবং Illustrator 
আপনার যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে তাহলে খুব সহজে উপরে তুলে ধরার সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে ক্লাইন্টের চাহিদা মত ডিজাইন করতে সক্ষম হবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনে ক্রিয়েটিভিটি থাকা খুবই জরুরী। অর্থাৎ আপনার লোগো অথবা পোস্টারের মাধ্যমে কোম্পানি তাদের বিজনেস করবে। ঠিক এই কারণে অ্যাট্রাক্টিভ ডিজাইন না হলে মানুষ সেগুলোর দিকে নজর দেবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে আমাদের কোনো কিছুর দরকার হলে দোকানে না গিয়ে আমরা অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করি। মূলত বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট অথবা সেবা প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা হয়। আমি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখে থাকেন তাহলে বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাজ করতে পারবেন। যেমন,
  • Facebook
  • Twitter
  • Instagram
  • LinkedIn ইত্যাদি
মূলত এই প্লাটফ গুলোতে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ পেয়ে যাবেন এর পাশাপাশি আপনি চাইলে আরো কিছু কাজ করতে পারেন যেমন,
  • Content creation
  • Audience engagement
  • Ads campaign ইত্যাদি 
আপনি যদি দক্ষতার সাথে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আপনি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলার পাশাপাশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে এবং আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর খুজে থাকেন তাহলে ভিডিও এডিটিং আপনার জন্য।আপনারা হয়তোবা দেখছেন দিন দিন ইউটিউব এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও কনটেন্টের চাহিদা কতোটা বেড়ে চলছে।আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন এবং ভিডিও এডিটিং শিখে উপার্জন শুরু করতে পারেন।আপনি ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে ২টি সফটওয়্যার দিয়ে ভিডিও এডিট করতে পারেন।যেমন,
  • Adobe Premiere Pro
  • এবং Final Cut Pro
বর্তমান বাজারে একজন ভিডিও এডিটিরের চাহিদা অনেক।আপনি যদি প্রফেশনালি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তাহলে খুব সহজে ভিডিও এডিট করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডিং ভিডিও তৈরি করে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয় সেক্টর হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। অর্থাৎ আপনার যদি কন্টেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে কনটেন্ট রাইটিং শুরু করতে পারবেন। অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় কনটেন্ট রাইটিং তুলনামূলকভাবে সহজ হওয়ার কারণে অনেক মানুষই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে কনটেন্ট রাইটিং কে বেছে নিচ্ছেন। আপনি চাইলে বেশ কয়েক ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারেন। যেমন,
  • ব্লগ পোস্ট
  • বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট
  • অথবা আর্টিকেল ইত্যাদি
মূলত কনটেন্ট রাইটিং করতে তেমন কিছু জানার প্রয়োজন হয় না। আপনি গুগল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিজে থেকেই কনটেন্ট লিখে ফেলতে পারবেন। তবে কনটেন্ট রাইটিং এও আপনার ক্রিয়েটিভিটি যত ভালো আপনি খুব তাড়াতাড়ি তত এগিয়ে যেতে পারবেন। সহজ ভাষায় আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল অথবা কনটেন্ট লিখতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে কনটেন্ট রাইটিং এর দুইটি ধাপ রয়েছে। যেমন,
  • নিজস্ব ওয়েব সাইটে কাজ করা
  • অথবা ক্লাইন্টের কাজ করে দেওয়া
আপনি চাইলে দুই ভাবেই কাজ করতে পারেন। গুগলে আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন উক্ত ওয়েবসাইটে আপনি নিয়মিত ব্লগ আপলোড করলেন। ধীরে ধীরে আপনার ট্রাফিক এবং ভিজিটর বাড়তে থাকল। এক সময় আপনি গুগল থেকে গুগল এডস এর জন্য মনিটাইজেশন পেয়ে যাবেন। মূলত গুগল এডস এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে কন্টেন্টের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন।

আবার আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টদের এসিও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখে দিয়ে উপার্জন করতে পারবেন। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবথেকে ডিমান্ডেবেল এবং সহজ সেক্টর খুজে থাকেন তাহলে কনটেন্ট রাইটিং আপনার জন্য সর্ব উত্তম।

মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে ডিমান্ডটেবল সেক্টর হল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। প্রতিনিয়ত পুরো বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। যার কারণে বর্তমান বাজারে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টরের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আপনি যদি একটু ক্রিয়েটিভ মাইন্ডের হয়ে থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর সেক্টর হিসেবে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখতে পারেন। মূলত আপনাকে দুইটি ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে হবে। যেমন,
  • এন্ড্রয়েড(Android)
  • এবং আই ও এস( iOS)
আপনি দুইটি ক্ষেত্রেই ডেভেলপমেন্ট শিখে রাখবেন যাতে করে এন্ড্রয়েড অথবা আই ও এস এর অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে সমস্যার মুখে না পড়তে হয়। আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে কয়েক ধরনের টুলস এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হবে। যেমন,
  • Kotlin
  • React native
  • Swift
এই টুলসগুলো ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে মোবাইলের যেকোনো অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে সক্ষম হবেন। তবে মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। আর বর্তমান সময়ে এর চাহিদা বেশি থাকায় আপনার কাজ পেতে দেরি হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ কথা

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোন একটি সেক্টর বেছে নিয়ে নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য রাখতে হবে। এর কারণ হচ্ছে শুরুতে হয়তো আপনার কাজ পেতে দেরি হবে। ঠিক এই কারণে আপনার আয় কম হবে। কিন্তু তখন হতাশ হলে চলবে না। বরং হতাশ না হয়ে আপনাকে পরিশ্রম করে যেতে হবে।

যখন আপনি কাজ পেয়ে যাবেন সে কাজ সম্পন্ন করার পর ধীরে ধীরে আপনার কাজ বাড়তে থাকবে এবং আপনার বেশি উপার্জন হতে শুরু হবে। আপনি যদি সৎ পথে থেকে সঠিক উপায়ে পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। কারণ জীবনে সফলতা অর্জন করতে গেলে কঠোর পরিশ্রম এবং সৎ থাকা খুবই জরুরী। কখনো হতাশ হয়ে হার না মেনে আপনার সমস্যা গুলোকে খুঁজে বের করে সেই সমস্যাগুলো দূর করে আবারো চেষ্টা করুন।

চেষ্টা করলে একদিন সফলতা আসবেই। ওপরের অংশে আমি বেশ কয়েকটি ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে আপনাদের সংক্ষিপ্ত ধারণা দিয়েছি। আশা করছি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি আপনার পছন্দের সেক্টর বেছে নিতে পেরেছেন। তাই দেরি না করে আপনার পছন্দের সেক্টরটিতে কাজ শিখা শুরু করে দিন এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলুন।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ

প্রশ্নঃ বর্তমানের সবথেকে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?
উত্তরঃ ডিজিটাল মার্কেটিং।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান কোনটি?
উত্তরঃ eshikhon.com।

প্রশ্নঃ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি?
উত্তরঃ যেমন,
  • Freelancer.com
  • Fiverr
  • Upwork
  • People Per Hour
  • Guru
প্রশ্নঃ 2024 সালে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন দক্ষতা ভালো?
উত্তরঃ যেমন,
  • এসইও
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
প্রশ্নঃ সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এ কত ডলারের বাজার রয়েছে?
উত্তরঃ ৩.৩৯ বিলিয়ন ডলার।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কতজন ফ্রিল্যান্সার আছে?
উত্তরঃ প্রায় ১০ লাখ।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের সেরা ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ কোনটি?
উত্তরঃ Fiverr।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সার কে?
উত্তরঃ মোঃ সুলতান হোসেন।

প্রশ্নঃ আউটসোর্সিং এর জনপ্রিয় সাইট কোনটি?
উত্তরঃ  যেমন, 
  • Freelancer.com
  • Fiverr
  • Upwork
  • People Per Hour
  • Guru
প্রশ্নঃ নতুনদের জন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইট ভালো?
উত্তরঃ ফাইভার।

প্রশ্নঃ বিশ্বে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং এ কততম?
উত্তরঃ ২৯তম।

প্রশ্নঃ সারাবিশ্বে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার শতকরা কত?
উত্তরঃ ১৬ শতাংশ।

প্রশ্নঃ সবচেয়ে ধনী ফ্রিল্যান্সার কে?
উত্তরঃ ইভান ফিশার।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং কি চাকরির পদবি?
উত্তরঃ মূলত স্বাধীন ঠিকাদার বলা হয়।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য সহজ প্ল্যাটফর্ম কোনটি?
উত্তরঃ LinkedIn।

লেখকের মন্তব্য

এই সম্পন্ন পোষ্টের মধ্যে আমি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সেই সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনাদের মাঝে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আশা করি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরে গেছেন এবং আপনার পছন্দের সেক্টরটি বেঁচে নিতে পেরেছেন।

এই সম্পূর্ণ পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে আপনার বন্ধুরাও তাদের কাংখিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পারে। সর্বশেষ এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url