খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি - খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস চেনার উপায়
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস নামটা আমাদের খুবি পরিচিত। অনেক মানুষ রয়েছেন যারা খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন করতে চান। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার কারনে হাঁস পালন শুরু করতে পারেন না। ঠিক এই কারনে আমি আজকে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি এবং খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস চেনার উপায় তুলে ধরব।
তাই আপনি যদি সঠিক খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে আপনার সাধের খামার শুরু করতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ভুমিকা
বর্তমান সময়ে বাজারে হাঁসের চাহিদা এবং ডিমের চাহিদা বেশি থাকার কারনে অনেক মানুষ বাণিজ্যিক ভাবে হাঁসের খামার শুরু করছেন। হাঁস পালনে লাভের পরিমানে বেশি থাকার কারনে ধীরে ধীরে হাঁস পালন আমাদের মাঝে জনপ্রিয়তা লাভ করছে। হাঁস ডিম উৎপাদনের পাশাপাশি মাংস বাজারজাত করণে ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় অনেক খামারি হাঁস পালন করে লাভমান হচ্ছেন। এই কারনে আপনি অন্য খামারিদের মতো হাঁসের জাত হিসাবে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন করে একটি লাভজনক খামার বেবস্থাপনা শুরু করতে চান।
কিন্তু সঠিক তথ্য না জানার কারনে শুরু করতে পারছেন না।তাহলে আমাদের এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ুন। আজকের এই পোস্টের মধ্যে আমি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি এবং খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানোর চেষ্টা করবো। সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লে আশা করি আপনি সমস্ত কিছু বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি
হাঁস পালন করার ক্ষেত্রে সঠিক উপায়ে হাঁস পালন পদ্ধতি হাঁস পালনে লাভমান হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের একটি লাভবান খামার ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে চাইলে অবশ্যই সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। অন্যান্য হাঁসের জাতের তুলনায় খাকি ক্যাম্বেল হাঁস খুব দ্রুত মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এর প্রধান কারণ এর ডিম দেয়ার ক্ষমতা। এক বছরে খাকি ক্যাম্বেল হাঁস প্রায় ৩০০ টি ডিম দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি একবার ডিম দিতে শুরু করলে প্রায় দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত হাঁসের ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন।
মূলত উক্ত প্রজাতির হাঁস মুরগি থেকে বেশি ডিম দিয়ে থাকে। যার জন্য বর্তমান বাজারে চাহিদা বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে দুইটি উপায়ে হাঁস পালন করা যায়। যেমন, আবদ্ধ পদ্ধতিতে এবং পুরোপুরি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে। যদি আপনি আবদ্ধ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই হাঁসের ঘর তৈরি করার পাশাপাশি হাঁস যাতে চড়ে বেড়াতে পারে এরকম জায়গা সহকারে খামার তৈরি করতে হবে।
আপনি যদি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে হাঁস পালন করেন তাহলে হাঁসের একটি ঘর তৈরি করলেই হবে। আর চড়ে বেড়ানোর জন্য পুকুর অথবা জলাশয় রয়েছে। যদি আপনি একটি লাভজনক হাসের খামার তৈরি করতে চান। তাহলে আজকে দিনের এক থেকে দুইবার সময়ে জলাশয় অথবা পুকুরে চড়ে বেড়াতে দিবেন।
এতে করে হাস পালনে খাবার খরচ কমে যাবে। আর আপনাকে হাঁসের ঘর এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে করে বাহির থেকে কোন ধরনের হিংস্র প্রাণী খামারে প্রবেশ করে হাঁসের ক্ষতি না করতে পারে।
খাঁকি ক্যাম্পবেল বাচ্চার প্রতিপালন
যে কোন খামারের প্রথম ধাপ হচ্ছে বাচ্চা প্রতিপালন। অর্থাৎ শুরুতে আমরা আমাদের খামারে হাঁসের বাচ্চা আনি এবং পরবর্তীতে সেগুলোকে যত্ন সহকারে বড় করে ডিম দেওয়ার উপযোগী করে তুলি। মূলত খাকি ক্যাম্বেল হাঁসের ক্ষেত্রে আপনাকে ঘরের মেঝেতে তারের জাল ব্যবহার করতে হবে। মূলত তারের জালের ওপর বাচ্চাদের রাখতে হবে।
সাধারণত খুবই তাড়াতাড়ি বাচ্চা হাসেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ঠিক এই কারণে মেঝেতে তারের জাল ব্যবহার করার জন্য রোগ কম দেখা যায়। সাধারণত আপনাকে তার জাল এমন ভাবে রাখতে হবে যাতে করে মাটি থেকে এক থেকে দেড় ফুট উপরে থাকে। এতে করে হাঁসের বাচ্চার মলমূত্র খুবই সহজে পরিষ্কার করা সম্ভব হবে। আর খামার পরিষ্কার থাকলে রোগ ব্যাধি কমে যাবে।
বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় উত্তাপ
মূলত প্রথম অবস্থার দিকে খাকি ক্যাম্বেল হাঁসের বাচ্চার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরী। এক্ষেত্রে আপনি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ৮৫০ ফারেনহাইট থেকে ৯০০ ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা রাখতে পারেন। এরপরে যতদিন যাবে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ ৭৫০ ফারেনহাইট আনতে হবে। যখন হাঁসের বয়স ২০ থেকে ২৫ দিন হয়ে যাবে তখন আপনি হাঁসের বাচ্চা গুলোকে মেঝেতে ছেড়ে দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে হাঁসের বাচ্চাকে মেঝেতে ছেড়ে দেওয়ার আগে অবশ্যই মেঝেতে কাঠের গুঁড়ো অথবা তুষ দিয়ে দিতে হবে।
বয়স অনুযায়ী মেঝেতে জায়গার পরিমাণ
- চারভাগের এক বর্গফুট জায়গা প্রথম দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত।
- তিন ভাগের এক বর্গফুট জায়গা এক থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
- দুই ভাগের এক বর্গফুট জায়গা দুই থেকে তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
- সর্বশেষ দেড় বর্গফুট জায়গা তিন থেকে সাত সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
হাঁস পালতে পানির প্রয়োজনীয়তা
হাঁস জলজ জীব হওয়ার কারনে অনেকেই মনে করেন যে হয়তো হাঁস পানি ছাড়া পালন করা একেবারেই অসম্ভব। তবে আপনাদের ধারনা ভুল প্রমান করে দিয়ে বলতে চাই খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন করতে পানির প্রয়োজন লাগে না। শুধু মাত্র খাবার সময় পানি দিয়েও হাঁস পালন করা সম্ভব। তাই আপনি যদি পুকুর অথবা জলাশয়ে হাঁস পালন না করে আবদ্ধ পদ্ধতিতে পালন করতে চান তাহলে খাবার দেবার সময় অবশ্যই পানির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হাঁসকে একপাশে খাবার দিতে হবে আর এক পাশে পানি দিতে হবে। কারন হাঁস খাবারে মুখ দেবার পর পানিতে মুখ দেয়। হাঁস পানিতে ঠোঁট ভেজানোর পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার করতে পানির মধ্যে মুখ ডুবায়। এক্ষেত্রে আপনি হাঁসকে খাবার দেওয়ার সময় বড় একটি গামলাতে করে খাবার পানি দিয়ে দিতে পারেন। তবে আপনি যদি খামারের মাঝখান দিয়ে পানির জন্য একটি নালা তৈরি করে দিতে পারেন তাহলে সব থেকে ভালো হয়।
আর অবশ্যই আপনাকে প্রতিদিন খাবার পানি দেওয়ার নালা পরিষ্কার করতে হবে। যদি নালা অপরিষ্কার রাখে তাহলে খুব সহজে সেই নালা থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হবে। খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁসের জাত একটু উন্নত হওয়ার কারণে ময়লাযুক্ত পানি থাকলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই সব সময় আপনার খামারকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের খাবার
আপনি যদি হাঁস পালনে কম খরচ করতে চান তাহলে আপনাকে পুকুর অথবা জলাশয়ে হাঁস পালন করবেন। এতে করে আপনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। এর প্রধান কারন হাঁস জলজ প্রাণী এরা পানিতে থাকতে পছন্দ করে এবং পানি থেকে প্রয়োজনীয় খাবার সংগ্রহ করে। যেমন,
- জলজ উদ্ভিদ
- মাছের ডিম এবং পোনা
- কীট- পতঙ্গ
- শামুক
- গুগলি
- এবং গেড়ি খেয়ে বেড়ায়।
আবদ্ধ অবস্থায় প্রথম ৮ সপ্তাহে প্রতিটি হাঁসকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কেজি খাবার খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ হিশাব অনুযায়ী ২০ সপ্তাহে প্রতিটি হাঁসকে প্রায় ১২ থেকে ১৩কেজি খাবার প্রদান করতে হবে। তাহলে আশা করছি আপনি খাবারের হিসাব বুজতে পারছেন। উক্ত হিসাব অনুযায়ী আপনি যত গুলো হাঁস পালন করবেন তার খাবারের একটা আনুমানিক হিসাব পেয়ে যাবেন।
আরও ভালো করে বুঝাতে গেলে একটি পূর্ণ বয়স্ক হাঁস প্রায় দিনে ১৩০ থেকে ১৫০ গ্রাম খাবার সুষম গ্রহন করে। তবে আপনি যদি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন করেন তাহলে সব সময় খাবার ভিজিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে খাবার নষ্ট কম হবে এবং হাঁসের গিলতে সুবিধা হবে। চলুন এবার খাবারের পরিমান জেনে নিয়া যাক।
খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসের দৈনিক খাবার দেওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন ৪ বার প্রথম থেকে ৪ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
- দিনে ৩ বার ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
- দিনে ২ বার খাবার দিতে হবে ৮ সপ্তাহ বয়সের পর থেকে।
খাবার জায়গার পরিমাণ
- বাচ্চা প্রতি আধা ইঞ্চি প্রথম থেকে ২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
- বাচ্চা প্রতি ১ ইঞ্চির ৪ ভাগের ৩ ভাগ জাইগা দিতে হবে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ বয়সে।
- বাচ্চা প্রতি ১.৫ ইঞ্চি জাইগা দিতে হবে ৪ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
হাঁসের সুষম খাবারের তালিকা
হাঁসের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি সঠিক সময়ে ডিম উৎপাদন করতে সুষম খাবার বেবস্থাপনা খুবি জরুরী।আপনি চাইলে খুব সহজে নিজেই সুষম খাবার বানাতে পারেন। আপনার খাবার বানানোর সুবিধার কারনে আমি নিচে হাঁসের সুষম খাবার বানানোর পদ্ধতি তুলে ধরলাম। যেমন,
প্রতি ১০০ ভাগ খাবারের মধ্যে যোগ করতে হবে,
- ৩০ ভাগ গম
- ১০ ভাগ সয়াবিন খোল
- ৪০ ভাগ ধান ভাঙ্গা
- ২ ভাগ ঝিনুক ভাঙ্গা
- ৮ ভাগ শুঁটকি মাছের গুঁড়ো
- ১০ ভাগ কালো তিল খোল
- ১০০ ভাগ খাবারের সাথে ১০ গ্রাম ভিটামিন এ, ভিটামিন বি২,ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি৩ মেশাতে হবে।
ওপরে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের জন্য সুষম খাবার কিভাবে বানাতে হয় সেই বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি এই নিয়ম অনুযায়ী খাবার বানালে হাঁসের সঠিক বৃদ্ধির পাশাপাশি সঠিক সময়ে ডিম উৎপাদন করা যাবে। আপনি চাইলে খাবার আরও কিছু উপাদান মেশাতে পারেন। তবে মেশানোর আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিবেন। আপনি যদি না জেনে থাকেন তাহলে নিজের থেকে কিছু করতে জাবেন না। তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে অনেক সমস্যায় পরতে হবে।
খাঁকি ক্যাম্পবেল হাঁসের রোগ-ব্যাধি ও তার প্রতিকার
অন্যান্য হাঁসের জাতের তুলনায় খাঁকি ক্যাম্পবেল জাতের হাঁসের তেমন একটা রোগ বালাই দেখা যায় না। কিন্তু উক্ত প্রজাতির হাঁস যে একেবারে কোন রোগে আক্রান্ত হয় না এমন চিন্তা কখনোয় করবেন না। তবে হাঁস বলেন আর মুরগি বলেন সবার ক্ষেত্রেই রোগ সৃষ্টি অথবা দেখা দেয় খামারের পরিচর্যার ওপর।
যদি আপনি খামার পরিষ্কার রাখেন তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ান তাহলে হাঁসের রোগের সম্ভাবনা কমে যায়। তবে হাঁসের ২ টি ভয়ানক রোগ হয়ে থাকে। যেমন, ডাক-প্লেগ এবং ডাক-কলেরা। তবে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। উক্ত রোগ দুটি সৃষ্টি হওয়ার আগে আপনার নিকটস্থ পশু চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে পরামর্শ গ্রহন করে টিকা প্রদান করলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হাঁস পালন করতে গেলে আপনার অবহেলা করলে চলবে না। সব সময় হাঁসকে খাবার দেয়ার পাত্র এবং পানির পাত্র সহ হাঁসের খামার সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে জাতে করে কোন ধরনের রোগ সৃষ্টি না হতে পারে। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন।
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস চেনার উপায়
অন্য জাতের হাঁসের তুলনায় থাকি ক্যাম্বেল হাঁসের বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো দেখে খুব সহজে হাঁসগুলোকে সনাক্ত করা যায়। বৈশিষ্ট্যগুলো আমি নিচে উল্লেখ করছি। যেমন,
- পালকের রং খাকি হয়।
- পা এবং পায়ের পাতার রং হাঁসার হলুদ বর্ণের
- ঘাড় ব্রোঞ্জ রঙের
- ঠোটের রং হাঁসা নীলাভ,হাঁসী কালো
- প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন ২ থেকে ২.৫ কেজি পর্যন্ত হয়
- এবং ডিম বড় এবং সাদা বর্ণের হয়ে থাকে
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালনের সুবিধা
- চার মাস বয়স থেকে ডিম দিতে শুরু করে।
- বছরে প্রায় ৩০০ টি ডিম দেয়।
- ডিম দিতে শুরু করলে প্রায় ১.৫ থেকে তিন বছর পর্যন্ত ডিম দেয়।
- ডিম বড় আকারের হয়। যার কারণে ভালো বাজার মূল্য পাওয়া যায়।
- পুকুর অথবা জলাশয় ছাড়াই পালন করা যায়।
- প্রাপ্তবয়স্ক হাসির ওজন দুই থেকে ২.৫ কেজি পর্যন্ত হয়।
- ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরুষ হাঁসের প্রয়োজন হয় না।
- হাঁসের ডিম উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেলে মাংস হিসেবে বাজারে বিক্রি করা যায় ইত্যাদি।
খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কত দিনে ডিম পাড়ে?
উত্তরঃ ৪ মাস বয়স পর থেকে।
প্রশ্নঃ হাঁস পালনের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কোনটি?
উত্তরঃ উন্মুক্ত পদ্ধতি।
প্রশ্নঃ হাঁস কত দিন বাঁচে?
উত্তরঃ ৮ থেকে ১০ বছর।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের কতটুকু জায়গা প্রয়োজন?
উত্তরঃ ১২ থেকে ১৫ বর্গফুট।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল কতবার ডিম পাড়ে?
উত্তরঃ ১ বছরে প্রায় ৩০০ টি ডিম দেয়।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কি খেতে পছন্দ করে?
উত্তরঃ যেমন,
- শামুক
- স্লাগ
- পোকামাকড়
- শেওলা
- মশা ইত্যাদি
প্রশ্নঃ হাঁস পালন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ উষ্ণ এবং নিরাপদ পরিবেশ।
প্রশ্নঃ একটি হাস দিনে কত গ্রাম খাবার খায়?
উত্তরঃ ১৫০ থেকে ১৭০ গ্রাম।
প্রশ্নঃ হাঁসের স্ত্রীকে কি বলে?
উত্তরঃ মহিলা হাঁস।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কি শান্ত?
উত্তরঃ হ্যাঁ, শান্ত।
প্রশ্নঃ হাঁসের খাঁচা কত বড় হওয়া উচিত?
উত্তরঃ হাঁস প্রতি ৪ বর্গফুট ফ্লোরস্পেস।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কি মাছ খায়?
উত্তরঃ হ্যাঁ, মাছ খেতে পারে।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কি খাওয়াতে হয়?
উত্তরঃ ওষুধবিহীন চিক স্টার্টার।
প্রশ্নঃ হাঁসের সবচেয়ে ভালো খাবার কোনটি?
উত্তরঃ যেমন,
- ফাটা ভুট্টা
- ওটস, চাল
- হিমায়িত মটর
- কাটা লেটুস
- বার্ডসিড ইত্যাদি
প্রশ্নঃ হাঁস প্রতিদিন কতটুকু পানি পান করে?
উত্তরঃ ১.৫ থেকে ২ লিটার।
প্রশ্নঃ হাঁসের কি নাইট লাইট লাগে?
উত্তরঃ না, হাঁস নিশাচর।
প্রশ্নঃ হাঁস কখন মুক্ত রাখতে হয়?
উত্তরঃ উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পালনে সারা বছর মুক্ত রাখা যায়।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কত বছর বয়সে ডিম পাড়ে?
উত্তরঃ ৫ থেকে ৭ মাস বয়সে।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের ডিম দেখতে কেমন?
উত্তরঃ সাদা।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল কি সবুজ মাথা আছে?
উত্তরঃ মাথা গাঢ় হয় এবং জলপাই সবুজ।
প্রশ্নঃ খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস কি ভালো বাবা মা?
উত্তরঃ একদমই না।
লেখকের মন্তব্য
এই সম্পন্ন পোষ্টের মধ্যে আমি খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস পালন পদ্ধতি এবং খাকি ক্যাম্পবেল হাঁস সংক্রান্ত সকল তথ্য সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ভাবে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন এবং সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে একটি লাভজনক খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের খামার শুরু করতে পেরেছেন।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। যাতে করে আপনার বন্ধুরাও তথ্যগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে একটি লাভজনক হাঁস খামার ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে পারে। আর এরকম নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সম্পর্কে সকল তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে থাকুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url