ক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়। জানুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
ভূমিকা
ক্রিয়েটিনিন কি?
ডায়ালাইসিস করার প্রয়োজন কখন হয় তা জানার জন্য ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা জানা জরুরি। ক্রিয়েটিনিন হলো একটি বর্জ্য পদার্থ যা কিডনি থেকে বের হয়। এই পদার্থ রক্তে জমা হয় এবং এর মাত্রা বেশি হলে ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন হয়। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ বের করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ডায়ালাইসিস করলে কি কিডনি ভালো হয়
ক্রিয়েটিনিনের উৎস
ক্রিয়েটিনিন মূলত পেশির কাজের ফলে তৈরি হয়। এটি ক্রিয়েটিন নামক একটি পদার্থের পচনশীল অংশ। আমাদের পেশি ক্রিয়েটিন ব্যবহার করে শক্তি উৎপাদন করে। শক্তি উৎপাদনের পর, ক্রিয়েটিন ভেঙে ক্রিয়েটিনিনে রূপান্তরিত হয় এবং রক্তে প্রবেশ করে। কিডনি এই ক্রিয়েটিনিনকে রক্ত থেকে ফিল্টার করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়।
কিছু কারণের জন্য ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়,
- পেশির আঘাত
- অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ
- কিডনি সমস্যা
- শারীরিক পরিশ্রম
নিম্নে একটি টেবিলে ক্রিয়েটিনিনের উৎস এবং এর মাত্রা উল্লেখ করা হলো,
- পেশির কাজ - উচ্চ
- প্রোটিন গ্রহণ - মাঝারি
- কিডনি সমস্যা - উচ্চ
- শারীরিক পরিশ্রম - মাঝারি
শরীরে ক্রিয়েটিনিনের ভূমিকা
ক্রিয়েটিনিনের প্রধান ভূমিকা হলো শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করা। কিডনি এটি ফিল্টার করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিডনি কতটা কার্যকর তা জানায়।
আরো পড়ুনঃ লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়
কিডনির কার্যক্ষমতা নির্ধারণে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। যখন ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়, তা কিডনির সমস্যা নির্দেশ করে। কিডনির সমস্যার ফলে শরীর থেকে বর্জ্য বের হওয়া কমে যায়। ফলে বিষাক্ত পদার্থ রক্তে জমা হয়।
নীচে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা অনুযায়ী কিডনির কার্যক্ষমতার ধারণা দেওয়া হলো,
- 0.6 - 1.2 - স্বাভাবিক
- 1.3 - 1.9 - মাঝারি সমস্যা
- 2.0 - 3.9 - উচ্চ সমস্যা
- 4.0+ - ডায়ালাইসিস প্রয়োজন
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রচুর পানি পান করা উচিত। এছাড়া প্রোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।
ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা
ডায়ালাইসিস হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিডনির কাজ করতে সাহায্য করে। যখন কিডনি রক্ত পরিষ্কার করতে পারে না, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। ক্রিয়েটিনিন একটি রাসায়নিক পদার্থ, যা কিডনি ফিল্টার করে। ক্রিয়েটিনিন স্তর বেশি হলে, কিডনি সমস্যার উৎপত্তি হতে পারে। এই অংশে, আমরা জানবো কখন ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়।
আরো পড়ুনঃ প্রেশার হাই হলে করনীয় - দ্রুত হাই প্রেসার কমানোর উপায়
ডায়ালাইসিস কি?
ডায়ালাইসিস হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিডনির কাজ করতে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য পদার্থ এবং তরল অপসারণ করে। সাধারণত, কিডনি এই কাজ করে, কিন্তু যখন কিডনি কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়।
ডায়ালাইসিসের দুই ধরনের আছে। যেমন,
- হেমোডায়ালাইসিস: এটি একটি মেশিন ব্যবহার করে রক্ত পরিষ্কার করে।
- পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস: এটি পেটের অভ্যন্তরে একটি ক্যাথেটার ব্যবহার করে।
উভয় পদ্ধতিই শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে এবং বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করে।
কেন ডায়ালাইসিস প্রয়োজন?
ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয় যখন কিডনি রক্ত পরিষ্কার করতে পারে না। কিডনি ফেইলিওর হলে, শরীরে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরল জমা হয়। এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
ডায়ালাইসিসের কিছু প্রধান কারণ হলো,
- কিডনি ফেইলিওর
- উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তর
- অতিরিক্ত তরল জমা
- ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা
উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তর কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত, ক্রিয়েটিনিন স্তর 5-10 mg/dL হলে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হয়। তবে, এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়ালাইসিসের সময় নির্ধারণ করা হয়।
ক্রিয়েটিনিন স্তরের সীমা
ক্রিয়েটিনিন হল শরীরে উৎপন্ন একটি বর্জ্য পদার্থ। এটি পেশী বিপাকের ফলে তৈরি হয়। কিডনি এটি রক্ত থেকে ফিল্টার করে মূত্রে নির্গত করে। ক্রিয়েটিনিন স্তরের বৃদ্ধি কিডনি সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। কিছু ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস প্রয়োজন হতে পারে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে ক্রিয়েটিনিন স্তর বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ প্রেসার লো হলে করণীয় - প্রেসার লো হওয়ার কারণ
স্বাভাবিক স্তর
স্বাভাবিক ক্রিয়েটিনিন স্তর বয়স ও লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। পুরুষদের জন্য সাধারণত 0.6 থেকে 1.2 মিগ্রা/ডি.এল এবং মহিলাদের জন্য 0.5 থেকে 1.1 মিগ্রা/ডি.এল। এই সীমার মধ্যে থাকা ক্রিয়েটিনিন স্তর কিডনি ঠিক ভাবে কাজ করছে বোঝায়।
বিভিন্ন বয়স এবং লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাভাবিক ক্রিয়েটিনিন স্তরের একটি টেবিল নিচে উল্লেখ করা হলো। যেমন,
- প্রাপ্তবয়স্ক - পুরুষ - 0.6 - 1.2
- প্রাপ্তবয়স্ক - মহিলা - 0.5 - 1.1
- শিশু উভয় - 0.2 - 1.0
স্বাভাবিক ক্রিয়েটিনিন স্তর বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। এই অভ্যাসগুলো কিডনি সুরক্ষায় সাহায্য করে।
উচ্চ স্তরের প্রভাব
উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তর কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। এটি কিডনি ফেইলিওর বা ক্রনিক কিডনি ডিজিজের (CKD) ইঙ্গিত দেয়। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমা হয়। এর ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তরের প্রভাব,
- শরীরে অতিরিক্ত ফ্লুইড জমা হয়।
- বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা আসে।
- শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
- বুক ধড়ফড় করতে পারে।
ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হতে পারে যদি ক্রিয়েটিনিন স্তর খুব বেশি বেড়ে যায়। ডায়ালাইসিস কিডনি কাজ না করলে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ও অতিরিক্ত ফ্লুইড সরাতে সাহায্য করে। এটি কিডনি রোগীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি।
আরো পড়ুনঃ দাঁতের ফিলিং করার পর করণীয়
উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তরের কারণ খুঁজে বের করা এবং চিকিৎসা করা জরুরি। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা এবং ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
ডায়ালাইসিসের সময়সীমা
ডায়ালাইসিস হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে প্রয়োজন হয়। কিডনি রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করতে সাহায্য করে। কিন্তু যখন কিডনি তা করতে ব্যর্থ হয়, তখন ডায়ালাইসিস করতে হয়। কিডনি কাজ না করার প্রধান কারণ হল উচ্চ ক্রিয়েটিনিন স্তর। এই অংশে আমরা জানবো কখন ডায়ালাইসিস শুরু হয় এবং ডায়ালাইসিসের প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
কখন শুরু হয়?
ডায়ালাইসিস শুরু করার সময় নির্ভর করে কিডনির কার্যক্ষমতার উপর। ডাক্তাররা সাধারণত GFR বা গ্লোমেরুলার ফিল্ট্রেশন রেট পরিমাপ করে থাকেন। যদি GFR ১৫ মি.লি./মিনিট এর নিচে নেমে যায়, তাহলে ডায়ালাইসিস এর প্রয়োজন হয়।
আরো কিছু লক্ষণ দেখে ডায়ালাইসিস শুরু করা হতে পারে। যেমন,
- উচ্চ রক্তচাপ যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না
- ফুসফুস বা পায়ে পানি জমে যাওয়া
- উচ্চ পটাশিয়াম যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
ডায়ালাইসিস শুরুর আগে ডাক্তাররা ক্রিয়েটিনিন স্তর পরীক্ষা করেন। সাধারণত ক্রিয়েটিনিন স্তর ৮-১০ মি.লি./মিনিট এর নিচে নেমে গেলে ডায়ালাইসিস শুরু হয়।
ডায়ালাইসিসের প্রক্রিয়া
ডায়ালাইসিসের প্রক্রিয়া মূলত দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথমটি হল হেমোডায়ালাইসিস। এই পদ্ধতিতে একটি মেশিন রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে।
দ্বিতীয়টি হল পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস। এই পদ্ধতিতে পেটের ভিতরে থাকা পর্দাকে ফিল্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
হেমোডায়ালাইসিস করার জন্য একটি শিরাতে সুই ঢুকিয়ে মেশিনে রক্ত পাঠানো হয়। মেশিনটি রক্ত ফিল্টার করে আবার শরীরে ফিরিয়ে দেয়। প্রতিবার হেমোডায়ালাইসিস করতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে।
পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস এ পেটের ভিতরে একটি ক্যাথেটার ঢুকিয়ে রাখা হয়। এই ক্যাথেটার দিয়ে বিশেষ তরল ঢোকানো হয় যা বর্জ্য পদার্থ শোষণ করে। পরে তরলটি শরীর থেকে বের করে দেয়া হয়।
ডায়ালাইসিসের প্রক্রিয়া বোঝা সহজ এবং এতে রোগীরা স্বস্তি পায়। তবে ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
ক্রিয়েটিনিন এবং কিডনি স্বাস্থ্য
ক্রিয়েটিনিন কিডনি স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ক্রিয়েটিনিন হলো একটি বর্জ্য পদার্থ যা পেশি বিপাকের ফলে রক্তে জমা হয়। কিডনি এই ক্রিয়েটিনিনকে ফিল্টার করে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিডনি যদি ঠিকমতো কাজ না করে, রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন হতে পারে।
কিডনি রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে। কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণ গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো,
- শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোলাভাব
- মূত্রের রঙ পরিবর্তন
- মূত্রের পরিমাণ কমে যাওয়া
- মূত্রে রক্ত দেখা
- অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা
- বমি বা বমির ভাব
- শরীরে খিঁচুনি
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ সনাক্ত করা গেলে, চিকিৎসা সহজ হয়। এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ক্রিয়েটিনিনের প্রভাব
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি যদি ক্রিয়েটিনিন ফিল্টার করতে ব্যর্থ হয়, রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো,
- উচ্চ রক্তচাপ
- মাথা ব্যথা
- নিদ্রাহীনতা
- খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া
- মাথা ঘুরানো
ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। নিয়মিত চেকআপ এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিডনি স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা
ক্রিয়েটিনিন হলো একটি বর্জ্য পদার্থ যা মাংসপেশির কার্যক্রমের সময় তৈরি হয়। কিডনি এই পদার্থটি রক্ত থেকে ছেঁকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়ালাইসিস একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে ব্যবহৃত হয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কিডনি সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু অভ্যাস মেনে চললে কিডনির কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে যা কিডনির জন্য ভালো। অতিরিক্ত ওজন কমানো কিডনির উপর চাপ কমায়।
- প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন
- ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন
- পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাও কিডনির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত রক্তচাপ ও গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন।
পুষ্টি এবং খাদ্য
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করলে কিডনি সুস্থ থাকে। কম লবণযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। প্রোটিনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন। অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে।
- তাজা ফল ও সবজি - প্রতিদিন গ্রহণ করুন
- কম লবণযুক্ত খাবার - লবণের পরিমাণ কমান
- প্রোটিন - পরিমিত গ্রহণ করুন
কিডনির জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি এড়ানো জরুরি। ফাস্ট ফুড এবং প্রসেসড খাবার পরিহার করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url