ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় | সহজ ও কার্যকর টিপস

প্রিয় পাঠক, আপনি হইতো অনেক খোঁজা খোজির আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় জানতে পারছেন না। যদি না জানতে পেরে থাকেন তাহলে সঠিক জাইগাতেই এসেছেন। কারন, আজকের পোস্টের মধ্যে আমি ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়

তাই আপনি যদি আপনার ব্যবহার করা ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জেনে ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।

ভূমিকা

ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখা খুবই জরুরি। এটি ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা ও দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ায়। আপনি কি জানেন, ল্যাপটপের ব্যাটারি ঠিকমতো যত্ন না নিলে ল্যাপটপের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এর মূল কারণ হলো সঠিক পরিচর্যার অভাব। ব্যাটারি ভালো রাখতে কিছু সহজ কৌশল মেনে চললেই হয়।

এই কৌশলগুলো আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে। ব্যাটারির আয়ু বাড়িয়ে আপনি আপনার কাজের গতিও বাড়াতে পারবেন। চলুন, জেনে নেই ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে।

সঠিক চার্জিং পদ্ধতি

চার্জিংয়ের সময়

ল্যাপটপ চার্জ করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। এর ফলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হবে। চার্জিংয়ের সময় নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন। যেমন,

  • চার্জিং করার সময় ল্যাপটপকে ঠান্ডা স্থানে রাখুন। অতিরিক্ত তাপ ব্যাটারির ক্ষতি করে।
  • চার্জার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই নির্ধারিত চার্জার ব্যবহার করুন। ভিন্ন ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করলে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • চার্জিংয়ের সময় ল্যাপটপ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হবে এবং ব্যাটারির আয়ু বাড়বে।
এছাড়া, ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হলে চার্জার খুলে রাখা উচিৎ। অতিরিক্ত চার্জ ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। চার্জিংয়ের সময় ল্যাপটপকে এমন স্থানে রাখুন যেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল হয়। এর ফলে ল্যাপটপের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

চার্জের সীমা

ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখতে চার্জের সীমা মানা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারি কখনোই পূর্ণ ১০০% চার্জ করা উচিত নয়।


নিচে চার্জিং সীমা সম্পর্কে ধারণা উল্লেখ করা হলো,

চার্জিং সীমা (%) - ব্যাটারির আয়ু
  • ২০% - ৮০% - সর্বোচ্চ
  • ১০% - ১০০% -  মাঝারি
  • ০% - ১০০% - নিম্ন
সাধারণত, ২০% থেকে ৮০% চার্জ রাখলে ব্যাটারির আয়ু বেশি সময় ধরে থাকে। চার্জ একেবারে শূন্য থেকে পূর্ণ করা উচিৎ নয়। ব্যাটারি ২০% এর নিচে নামলে চার্জ দিতে হবে।

এই চার্জিং সীমা মানলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী হবে। ব্যাটারি ভালো থাকবে অনেক দিন।

ব্যাটারি পরিচর্যা

নিয়মিত পরিস্কার

ব্যাটারি ভালো রাখতে নিয়মিত পরিস্কার করা খুব জরুরি। ব্যাটারির চারপাশে ধুলো এবং ময়লা জমা হলে এটি ব্যাটারির কার্যক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই নিয়মিত পরিস্কার করা প্রয়োজন।
  • ব্যাটারি এবং এর সংযোগস্থল পরিস্কার করুন।
  • নরম কাপড় বা ব্রাশ ব্যবহার করুন।
  • ধুলো এবং ময়লা পরিষ্কার করতে সময় নিন।
পরিস্কার করার সময় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। এটি নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

নিয়মিত পরিস্কার করলে ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অতিরিক্ত তাপ থেকে ব্যাটারি বাঁচানো যায়।

ফিজিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা

ল্যাপটপের ব্যাটারি ফিজিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করাও জরুরি। ব্যাটারি ফিজিক্যাল ক্ষতি হলে এর কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফিজিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষার কিছু উপায় নিচে দেয়া হলো,
  • ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।
  • ল্যাপটপ পড়ে গেলে ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • ল্যাপটপ ব্যাগে রাখুন।
  • হার্ড কেস ব্যবহার করুন।
ফিজিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা পেলে ব্যাটারির আয়ু বাড়ে। এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো কাজ করে।

ব্যাটারি সেভিং মোড

সফটওয়্যার ব্যবহার

ল্যাপটপের ব্যাটারি সেভ করতে কিছু সফটওয়্যার বেশ কার্যকর। এগুলো ব্যাটারির খরচ কমাতে সাহায্য করে। BatteryCare একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার যা ল্যাপটপের ব্যাটারির স্বাস্থ্য ও পারফরম্যান্স মনিটর করে। এটি বিভিন্ন পরিসংখ্যান দেখায় এবং ব্যাটারি সেভ করার পরামর্শ দেয়।

Battery Optimizer আরেকটি সফটওয়্যার যা ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যাটারির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয় এবং খরচ কমাতে বিভিন্ন টিপস প্রদান করে।
  • BatteryCare
  • Battery Optimizer
এছাড়াও, BatteryMon একটি কার্যকরী সফটওয়্যার যা ব্যাটারির পারফরম্যান্স মনিটর করে। এটি ব্যাটারির চার্জিং এবং ডিসচার্জিং সময়কাল ট্র্যাক করে। BatteryInfoView একটি হালকা সফটওয়্যার যা ব্যাটারির বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।

সফটওয়্যারবৈশিষ্ট্য
BatteryCare - ব্যাটারির স্বাস্থ্য মনিটরিং
Battery Optimizer - ব্যাটারি সেভ টিপস
BatteryMon - পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং
BatteryInfoView - বিস্তারিত তথ্য

অপশনাল সেটিংস

অপশনাল সেটিংস ব্যবহার করে ল্যাপটপের ব্যাটারি সেভ করা যায়। ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো একটি সহজ পদ্ধতি। ব্রাইটনেস কমালে ব্যাটারির খরচ কমে।

কীবোর্ড ব্যাকলাইট বন্ধ করা আরেকটি উপায়। ব্যাকলাইট বন্ধ করলে ব্যাটারির আয়ু বাড়ে। এছাড়া পাওয়ার সেভিং মোড চালু করা যেতে পারে।
  • ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমানো
  • কীবোর্ড ব্যাকলাইট বন্ধ করা
  • পাওয়ার সেভিং মোড
ব্যবহার না হলে ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই বন্ধ রাখা উচিত। এগুলো বন্ধ রাখলে ব্যাটারির খরচ কমে। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ রাখা উচিত। অনেক অ্যাপ্লিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে, যা ব্যাটারি খরচ করে।

অপ্রয়োজনীয় ইউএসবি ডিভাইস বিচ্ছিন্ন করা উচিত। ইউএসবি ডিভাইসগুলি ব্যাটারির শক্তি খরচ করে। তাই এগুলো বিচ্ছিন্ন করে রাখলে ব্যাটারির আয়ু বাড়ে।
  • ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই বন্ধ রাখা
  • অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ রাখা
  • অপ্রয়োজনীয় ইউএসবি ডিভাইস বিচ্ছিন্ন করা

তাপমাত্রার প্রভাব

উচ্চ তাপ

উচ্চ তাপমাত্রা ল্যাপটপের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। গরম পরিবেশে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হলে কর্মক্ষমতা কমে যায়। নিচে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো,
  • গরম ঘর: ল্যাপটপ ঠান্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে ব্যবহার করা উচিত।
  • সরাসরি সূর্যালোক: ল্যাপটপকে সূর্যালোক থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • ভেন্টিলেশন: ল্যাপটপে সঠিক ভেন্টিলেশন থাকা জরুরি। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচাতে।
ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। যেমন, চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ল্যাপটপ ধীরে কাজ করে। এই সমস্যাগুলো এড়াতে নিচের টিপস মেনে চলুন,

সমস্যাসমাধান
দ্রুত চার্জ শেষ - অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা
ধীরে কাজ করা - ল্যাপটপ ঠান্ডা রাখা

নিম্ন তাপ

নিম্ন তাপমাত্রাও ল্যাপটপের ব্যাটারির জন্য ভালো নয়। খুব ঠান্ডা পরিবেশে ব্যাটারি ঠিকমতো কাজ করে না। ঠান্ডা পরিবেশে ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হারায়। কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখা জরুরি। যেমন,
  • ঠান্ডা ঘর: ল্যাপটপকে উষ্ণ স্থানে ব্যবহার করা উচিত।
  • ঠান্ডা বাতাস: শীতের সময় ল্যাপটপকে কম্বল বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
নিম্ন তাপমাত্রায় ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। যেমন, ব্যাটারি চার্জ ধরে রাখতে পারে না। ল্যাপটপ চালু হতে সময় নেয়। ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে কিছু টিপস,

সমস্যাসমাধান
চার্জ ধরে রাখতে না পারাউষ্ণ স্থানে রাখা
চালু হতে সময় নেওয়াল্যাপটপ ঢেকে রাখা

অতিরিক্ত অ্যাপ ব্যবহারের পরিণতি

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলো ল্যাপটপের ব্যাটারি দ্রুত শেষ করে। এগুলো ল্যাপটপের র‍্যাম এবং সিপিইউ ব্যবহার করে। ফলে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যায়। কিছু সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করলে ব্যাটারি বাঁচানো যায়।

ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করার কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • টাস্ক ম্যানেজার ব্যবহার করুন: টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বন্ধ করুন।
  • সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন করুন: ল্যাপটপের সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করুন।
  • অ্যাপ পারমিশন পরিবর্তন: অ্যাপ পারমিশন ম্যানেজ করে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করুন।
এছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলোর অটো আপডেট বন্ধ করলে ব্যাটারির আয়ু বাড়ানো সম্ভব।

নিচে কিছু সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের তালিকা দেওয়া হলো,

অ্যাপের নামব্যবহার
Dropbox -  ফাইল সিঙ্ক ও ব্যাকআপ
OneDrive - ফাইল স্টোরেজ ও শেয়ারিং
Skype - ভিডিও ও ভয়েস কল

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ল্যাপটপের ব্যাটারি ক্ষয় করে। এই ধরনের সফটওয়্যার ল্যাপটপের রিসোর্স ব্যবহার করে। ফলে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুছে ফেলার কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো,
  • কন্ট্রোল প্যানেল ব্যবহার: কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করুন।
  • অ্যাপ ও ফিচারস: সিস্টেমের অ্যাপ ও ফিচারসে গিয়ে সফটওয়্যার মুছে ফেলুন।
  • অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার: অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে ম্যালওয়্যার বা অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার শনাক্ত করুন।

নিচে কিছু অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার তালিকা দেওয়া হলো,

সফটওয়্যার নামকার্যকারিতা
Toolbars - ব্রাউজার অ্যাডঅন
Trial Software - পরীক্ষামূলক প্রোগ্রাম
Bloatware - অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম

ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন

ক্যালিব্রেশন পদ্ধতি

ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন একটি সহজ প্রক্রিয়া যা আপনাকে ব্যাটারির সঠিক ধারণ ক্ষমতা বুঝতে সাহায্য করে। এটি ব্যাটারি ব্যবহারের সময় এবং চার্জিং সময় নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। নিম্নে ক্যালিব্রেশন পদ্ধতির ধাপগুলো দেওয়া হলো,
  • প্রথমে, ল্যাপটপের ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ করুন। এটি ১০০% পর্যন্ত চার্জ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • তারপর, ল্যাপটপটি আনপ্লাগ করুন এবং ব্যাটারি সম্পূর্ণ খালি হওয়া পর্যন্ত ব্যবহার করুন।
  • ব্যাটারি সম্পূর্ণ খালি হলে, ল্যাপটপটি আবার চার্জ করুন। এটি আবার ১০০% চার্জ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
  • এই প্রক্রিয়াটি মাসে একবার পুনরাবৃত্তি করুন। এটি ব্যাটারির ক্ষমতা ও স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করবে।

আবশ্যক সময়

ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে। সাধারণত, প্রতি মাসে একবার ক্যালিব্রেশন করা উচিত। এটি ব্যাটারির স্বাস্থ্য রক্ষা ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।

কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা উচিত। যেমন,
  • নতুন ল্যাপটপ কিনলে প্রথম ক্যালিব্রেশন প্রয়োজন।
  • ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করলে ক্যালিব্রেশন করা উচিত।
  • ব্যাটারির পারফরমেন্সে কোনো সমস্যা দেখা দিলে ক্যালিব্রেশন করুন।
ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন ল্যাপটপের জীবনীশক্তি বাড়ায়। এটি ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা সঠিকভাবে বুঝতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা অত্যন্ত জরুরি।

ল্যাপটপের সেটিংস

স্ক্রীন লাইট

স্ক্রীন লাইট কমানো ল্যাপটপের ব্যাটারি সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত লাইট ব্যাটারির শক্তি দ্রুত খরচ করে। তাই লাইট কমিয়ে রাখলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়।

স্ক্রীন লাইট কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন,
  • উজ্জ্বলতা কমানো: ল্যাপটপের কিবোর্ডের শর্টকাট ব্যবহার করে উজ্জ্বলতা কমাতে পারেন।
  • ব্লু লাইট ফিল্টার: ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করে চোখের ক্লান্তি কমাতে পারেন এবং ব্যাটারি আয়ু বাড়াতে পারেন।
উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এটি ল্যাপটপের পারফরম্যান্সেও কোনো প্রভাব ফেলে না।

পাওয়ার প্ল্যান

পাওয়ার প্ল্যান নির্বাচন সঠিকভাবে করা ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখতে সাহায্য করে। সঠিক পাওয়ার প্ল্যান নির্বাচন করলে, ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয় না।

পাওয়ার প্ল্যান পরিবর্তনের জন্য নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন,
  • কন্ট্রোল প্যানেল: কন্ট্রোল প্যানেলে যান এবং পাওয়ার অপশন নির্বাচন করুন।
  • পাওয়ার সেভার: পাওয়ার সেভার মোড নির্বাচন করুন। এটি ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়াতে সাহায্য করবে।
সঠিক পাওয়ার প্ল্যান নির্বাচন করে ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে পারবেন। এটি ল্যাপটপের কর্মক্ষমতাও উন্নত করবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধদের মাঝে শেয়ার করুন।

জাতে করে আপনার মতো আপনাদের বন্ধুরাও উক্ত পোস্ট পড়ে উপকৃত হতে পারে। আর সর্বশেষ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url