থিয়োভিট এর কাজ কি - থিয়োভিট এর দাম কত সম্পূর্ণ জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো থিয়োভিট এর কাজ কি এবং থিয়োভিট এর দাম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। যদি জানতে চান তাহলে আপনি ঠিক জাইগাতেই আছেন। কারন, আজকের পোস্টের মধ্যে থিয়োভিট এর কাজ কি এবং থিয়োভিট এর দাম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
তাই আপনি যদি থিয়োভিট এর কাজ কি এবং থিয়োভিট সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে চান তাহলে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
থিয়োভিট কী? এটি একটি জনপ্রিয় কেমিক্যাল যা বহু কৃষক ব্যবহার করে। থিয়োভিট এর কাজ কি এবং দাম জানাটা জরুরি। থিয়োভিট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফাঙ্গিসাইড। এটি ছত্রাকজনিত রোগ থেকে ফসল রক্ষা করে। কৃষকরা এটি গাছের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করে। থিয়োভিট ব্যবহারের ফলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং গুণগত মান উন্নত হয়। এছাড়া, এটি ব্যবহারে ফসলের স্থায়িত্বও বাড়ে। কিন্তু, থিয়োভিট এর দাম কত?
এটি জানতে হলে বাজার পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। বিভিন্ন দোকানে এর দাম ভিন্ন হতে পারে। সঠিক মূল্য জানার জন্য স্থানীয় কৃষি দোকান বা বাজার থেকে তথ্য সংগ্রহ করা উচিত। থিয়োভিট এর কার্যকারিতা এবং দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পুরো ব্লগটি পড়ুন।
থিয়োভিট কি
থিয়োভিট একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি রসায়ন পদার্থ, যা সাধারণত ফসলের রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ছত্রাকনাশক হিসেবে পরিচিত। থিয়োভিট ব্যবহারে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং রোগমুক্ত ফসল পাওয়া যায়। থিয়োভিট এর কাজ কি ও এর দাম এবং বিভিন্ন প্রকারভেদ সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি কৃষকদের জন্য উপকারী হতে পারে।
থিয়োভিটের উপাদান
থিয়োভিটের প্রধান উপাদান হলো সালফার। এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা ছত্রাকনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। থিয়োভিটে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা ফসলের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
আরো পড়ুনঃ ইউরোম্যাক্স ডি এর কাজ কি বিস্তারিত জানুন
থিয়োভিটের উপাদানসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো,
- সালফার: প্রধান উপাদান, যা ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে।
- অ্যাডজুভেন্টস: এই উপাদানগুলি থিয়োভিটের কার্যকারিতা বাড়ায়।
- অন্যান্য সহায়ক উপাদান: এগুলি থিয়োভিটের স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করে।
এই উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশে থিয়োভিটকে একটি কার্যকরী ছত্রাকনাশক হিসেবে তৈরি করে।
থিয়োভিটের প্রকারভেদ
থিয়োভিটের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে, যা বিভিন্ন ফসল এবং রোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিটি প্রকারের থিয়োভিটের আলাদা আলাদা কার্যকারিতা রয়েছে।
নিচে কিছু সাধারণ থিয়োভিটের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো,
থিয়োভিটের প্রকার - | ব্যবহার |
---|---|
থিয়োভিট ৭৫ ডব্লিউজি - | ফসলের সাধারণ রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। |
থিয়োভিট ৮০ ডব্লিউপি - | ফসলের পাতা, ফল এবং কান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। |
থিয়োভিট ৭০ ডব্লিউপি - | ফসলের মাটি এবং শিকড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। |
প্রতিটি প্রকারের থিয়োভিট নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যবহার করতে হয়। ফসলের প্রকারভেদ এবং রোগের ধরন অনুযায়ী থিয়োভিট নির্বাচন করা উচিত।
থিয়োভিট এর কাজ কি
থিয়োভিট একটি প্রয়োজনীয় কৃষি উপাদান। এটি ফসলের রোগ প্রতিরোধে এবং মাটি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থিয়োভিটের বিভিন্ন ব্যবহার আছে যা কৃষকদের জন্য উপকারী। এই অংশে আমরা থিয়োভিট এর কাজ কি এবং এর দাম সম্পর্কে জানবো।
ফসলের রোগ প্রতিরোধ
থিয়োভিট ফসলের রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এটি মূলত ফাঙ্গাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে ফসলকে রক্ষা করে। থিয়োভিট ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
ফসলের রোগ প্রতিরোধে থিয়োভিট ব্যবহারের কয়েকটি উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো,
- ফসলের পাতা ও গাছের ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ
- ফসলের শিকড়ের রোগ প্রতিরোধ
- ফসলের ফলের পচন প্রতিরোধ
- ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি
থিয়োভিট ব্যবহারের একটি সাধারণ নিয়ম হলো প্রতি একর জমিতে ৫০০ গ্রাম থিয়োভিট ব্যবহার করা। এটি জল বা স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা যায়।
ফসল - | থিয়োভিটের পরিমাণ - | ব্যবহার পদ্ধতি |
---|---|---|
ধান - | ৫০০ গ্রাম - | স্প্রে মেশিন |
গম - | ৬০০ গ্রাম - | জল মিশিয়ে |
মাটি উন্নয়ন
থিয়োভিট মাটি উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। থিয়োভিট ব্যবহারের মাধ্যমে মাটির জৈব গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়।
মাটি উন্নয়নে থিয়োভিট ব্যবহারের কয়েকটি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো,
- মাটির পিএইচ স্তর নিয়ন্ত্রণ
- মাটির নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এর পরিমাণ বৃদ্ধি
- মাটির জীবাণু বৃদ্ধিতে সহায়ক
মাটির গুণাগুণ উন্নয়নের জন্য প্রতি একর জমিতে ৫০০-১০০০ গ্রাম থিয়োভিট ব্যবহার করা হয়। এটি মাটিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়।
থিয়োভিট এর সুবিধা
পরিবেশের উপর প্রভাব
থিয়োভিট ব্যবহার করলে পরিবেশে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা যায়। এটি ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করলেও, পরিবেশের জন্য কম ক্ষতিকর।
- জল এবং মাটির গুণগত মান রক্ষা: থিয়োভিট ব্যবহারের ফলে জল এবং মাটির গুণগত মান বজায় থাকে।
- পোকামাকড়ের উপর প্রভাব: থিয়োভিট পোকামাকড়ের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটি শুধুমাত্র ছত্রাকের বিরুদ্ধে কাজ করে।
- জলজ প্রাণীর নিরাপত্তা: থিয়োভিট জলজ প্রাণীদের জন্য নিরাপদ। এটি জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতি করে না।
কৃষকের জন্য উপকারিতা
থিয়োভিট কৃষকদের জন্য বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আসে। এটি ফসলের গুণগত মান এবং পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
- উৎপাদন বৃদ্ধি: থিয়োভিট ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
- রোগ প্রতিরোধ: থিয়োভিট ফসলকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
- খরচ সাশ্রয়: থিয়োভিটের দাম সাধারনত কম হয়। ফলে এটি কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী।
- সহজ প্রয়োগ: থিয়োভিট প্রয়োগ করা সহজ। কৃষকেরা এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।
থিয়োভিট এর ব্যবহার
কৃষিতে প্রয়োগ পদ্ধতি
থিয়োভিটের সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতি জানা খুবই জরুরি। এটি রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং ফসলের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদনশীলতা বাড়ে।
থিয়োভিট ব্যবহারের কয়েকটি মূল পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো,
- পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করা
- মাটির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার
- বীজের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা
প্রথম পদ্ধতিতে, থিয়োভিট পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে করা হয়। এতে ফসলের পাতা, ফল, এবং ডালপালায় সরাসরি প্রয়োগ হয়।
দ্বিতীয় পদ্ধতিতে, মাটির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এতে মাটির পুষ্টি বাড়ে এবং ফসলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
তৃতীয় পদ্ধতিতে, বীজের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। এতে বীজের অঙ্কুরোদগম ভালো হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
সঠিক পরিমাণ ব্যবহার
থিয়োভিট ব্যবহারের সঠিক পরিমাণ জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত ব্যবহার ফসলের ক্ষতি করতে পারে। আবার কম ব্যবহার করলে প্রয়োজনীয় ফলাফল পাওয়া যায় না।
নির্দিষ্ট পরিমাণে থিয়োভিট ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত প্রতি লিটার পানিতে 2-3 গ্রাম থিয়োভিট মেশানো হয়। তবে ফসলের ধরন অনুযায়ী পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
নিচের টেবিলে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো,
ফসল - | থিয়োভিট পরিমাণ (প্রতি লিটার পানি) |
---|---|
ধান - | ২ গ্রাম |
গম - | ২.৫ গ্রাম |
সবজি - | ৩ গ্রাম |
ফসলের ধরন অনুযায়ী থিয়োভিটের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। পরামর্শ অনুযায়ী থিয়োভিট ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
থিয়োভিট এর দাম কত
বাজারের মূল্য
থিয়োভিটের দাম বাজারে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অঞ্চলে এর মূল্য ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বাজারের মূল্য নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। যেমন,
- উৎপাদন খরচ
- বাজারের চাহিদা
- সরবরাহের পরিমাণ
- প্রতিযোগিতা
নিচের টেবিলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের থিয়োভিটের দাম তুলনা করা হয়েছে,
প্রতিষ্ঠান - | দাম (প্রতি কেজি) |
---|---|
প্রতিষ্ঠান এ - | ৫০০ টাকা |
প্রতিষ্ঠান বি - | ৪৫০ টাকা |
প্রতিষ্ঠান সি - | ৫৫০ টাকা |
এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, থিয়োভিটের দাম প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। এছাড়া, স্থানীয় বাজার এবং সাপ্লাই চেইনও দাম নির্ধারণে ভূমিকা রাখে।
দাম নির্ধারণের কারণ
থিয়োভিটের দাম নির্ধারণে বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়। প্রথমত, উৎপাদন খরচ একটি বড় ভূমিকা পালন করে। উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং প্রযুক্তি অনেক ক্ষেত্রে দাম বাড়িয়ে তোলে।
দ্বিতীয়ত, বাজারের চাহিদা দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। চাহিদা বেশি হলে দাম বেশি হয়। আবার, চাহিদা কম হলে দাম কমে।
তৃতীয়ত, সরবরাহের পরিমাণ দাম নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। সরবরাহ কম হলে দাম বেশি হয়। আবার সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে।
চতুর্থত, প্রতিযোগিতা একটি বড় কারণ। বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি হলে দাম কমে। প্রতিযোগিতা কম হলে দাম বেশি হয়।
এই কারণগুলি মিলিয়ে থিয়োভিটের দাম নির্ধারণ করা হয়। তাই, বাজারে থিয়োভিটের দাম বিভিন্ন রকম হতে পারে।
থিয়োভিট কেনার স্থান
অনলাইন বিক্রয়
অনলাইন বিক্রয় থিয়োভিট কেনার একটি সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়। অনেক অনলাইন ফার্মেসি এবং মেডিকেল স্টোরে থিয়োভিট পাওয়া যায়। অনলাইনে থিয়োভিট কিনতে চাইলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন,
- বিশ্বস্ত অনলাইন ফার্মেসি নির্বাচন করুন: অনলাইনে ঔষধ কিনতে চাইলে প্রথমেই বিশ্বস্ত এবং প্রামাণিক ফার্মেসি নির্বাচন করুন।
- মূল্য তুলনা করুন: বিভিন্ন ওয়েবসাইটে থিয়োভিটের দাম তুলনা করে সেরা দামটি খুঁজে নিন।
- রিভিউ পড়ুন: ক্রেতাদের পর্যালোচনা পড়ে ওয়েবসাইট এবং পণ্য সম্পর্কে ধারণা নিন।
অনলাইনে থিয়োভিট কিনতে গেলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন,
- সময় বাঁচানো - ঘরে বসেই থিয়োভিট কিনতে পারবেন, যার ফলে সময় বাঁচবে।
- ডিসকাউন্ট - অনলাইন ফার্মেসিতে প্রায়ই বিভিন্ন ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
ফার্মেসি এবং দোকান
ফার্মেসি এবং দোকানে থিয়োভিট কেনা একটি প্রচলিত পদ্ধতি। এখানে সরাসরি প্রয়োজনীয় ঔষধটি কেনা যায়। ফার্মেসি এবং দোকান থেকে থিয়োভিট কিনতে গেলে কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত। যেমন,
- প্রামাণিক ফার্মেসি নির্বাচন: প্রামাণিক এবং লাইসেন্সধারী ফার্মেসি থেকে থিয়োভিট কিনুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ: ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নিয়ে থিয়োভিট কিনুন।
- মেয়াদ যাচাই: ঔষধের মেয়াদ শেষ না হওয়া নিশ্চিত করুন।
ফার্মেসি এবং দোকানে থিয়োভিট কিনতে গেলে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন,
- প্রামাণিকতা - প্রামাণিক এবং নির্ভরযোগ্য ঔষধ পাওয়া যায়।
- পরামর্শ - ফার্মাসিস্টের সরাসরি পরামর্শ নেওয়া যায়।
থিয়োভিট এর বিকল্প
অন্যান্য কীটনাশক
থিয়োভিটের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। কিছু জনপ্রিয় কীটনাশকের নাম নিচে দেওয়া হলো,
- ডাইমাইথোয়েট: এটি একটি শক্তিশালী কীটনাশক। এটি তেলাপোকা এবং অন্যান্য কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
- ইমিডাক্লোপ্রিড: এটি বিশেষ করে চোষক কীটপতঙ্গের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি গাছের শিকড় এবং পাতায় প্রয়োগ করা হয়।
- ফিপ্রোনিল: এটি মাটির কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এটি গাছের জন্য নিরাপদ এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
এই কীটনাশকগুলো থিয়োভিটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলোর দাম থিয়োভিটের মতোই ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে, প্রতিটি কীটনাশক ব্যবহারের আগে নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত।
প্রাকৃতিক বিকল্প
কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক উপায়েও গাছের রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কিছু প্রাকৃতিক বিকল্প নিচে দেওয়া হলো,
উপাদান - | ব্যবহার |
---|---|
নিম তেল - | গাছের পাতা ও শিকড়ে স্প্রে করা হয় |
রসুন ও মরিচ - | পেস্ট তৈরি করে গাছের উপর প্রয়োগ করা হয় |
গোল মরিচ - | পানি মিশিয়ে স্প্রে করা হয় |
প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহারে গাছের কোন ক্ষতি হয় না। এগুলো নিরাপদ এবং পরিবেশ বান্ধব। প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ এবং সস্তা।
থিয়োভিট ব্যবহারে সতর্কতা
নিরাপত্তা নির্দেশনা
থিয়োভিট ব্যবহারের সময় কিছু নির্দিষ্ট নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলা জরুরি। এই ঔষধটি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না হয়।
- ডোজের পরিমাণ সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ বন্ধ করা উচিত নয়।
- থিয়োভিট ব্যবহারের সময় অ্যালার্জি পরীক্ষা করা উচিত।
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত চেকআপ করানো উচিত। নিম্নলিখিত টেবিলটি থিয়োভিট ব্যবহারের কিছু নিরাপত্তা নির্দেশনা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। যেমন,
নির্দেশনা - | বিবরণ |
---|---|
ডোজ - | ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী |
অ্যালার্জি পরীক্ষা - | ব্যবহারের আগে |
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য - | বিশেষ পরামর্শ |
চেকআপ - | নিয়মিত |
প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ
থিয়োভিট ব্যবহারের সময় কিছু প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি।
- ত্বকে র্যাশ বা অ্যালার্জি
- পেটের ব্যথা এবং ডায়রিয়া
- মাথা ঘোরা এবং দুর্বলতা
- বমি এবং বমি ভাব
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। থিয়োভিট ব্যবহারের সময় যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে সাথে সাথে চিকিৎসা নিতে হবে। এটি জীবন রক্ষাকারী হতে পারে। প্রতিক্রিয়ার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নলিখিত টেবিলের মাধ্যমে প্রদান করা হলো,
লক্ষণ - | বিবরণ |
---|---|
ত্বকে র্যাশ - | অ্যালার্জির সম্ভাবনা |
পেটের ব্যথা - | ডোজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া |
মাথা ঘোরা - | দুর্বলতা |
বমি - | অতিরিক্ত ডোজ |
সচরাচর জিজ্ঞাশিত প্রশ্ন এবং উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ থিউভিটের কাজ কি?
উত্তরঃ ছত্রাক এবং পোকামাকড় দমন করা।
প্রশ্নঃ ম্যানসার কীটনাশক দাম কত?
উত্তরঃ ১৮০ টাকা।
প্রশ্নঃ সালফক্স এর দাম কত?
উত্তরঃ
- ১০০ গ্রাম - ৪২ টাকা
- ৫০০ গ্রাম ১৩৫ টাকা
- ১ কেজি ২২০ টাকা।
প্রশ্নঃ ফ্লোরা এর দাম কত?
উত্তরঃ
- ৫০ মিলি ৭০ টাকা
- ১০০ মিলি ১৩৫ টাকা
- ২৫০ মিলি ২৪৫ টাকা
- ৫০০ মিলি ৪৪৮ টাঁকা
- ১০০০ মিলি ৮৫০ টাকা।
প্রশ্নঃ মাজরা পোকার ঔষধ কি?
উত্তরঃ ভিরতাকো ৪০ ডব্লিউজি।
প্রশ্নঃ ব্যাকটাফ এর কাজ কি?
উত্তরঃ ফসলকে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে প্রতিরোধ করা।
প্রশ্নঃ সেতারা কীটনাশক কাজ কি?
উত্তরঃ সব ধরণের পোকা দমন করা।
প্রশ্নঃ ধান লাগানোর কত দিন পর সার দিতে হয়?
উত্তরঃ প্রথম বার ধান লাগানোর ১৫ থেকে ২০ দিন পর। দ্বিতীয় বার ধান লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিন পর এবং শেষ বার কাইচথোড় আসার ৫-৭ দিন আগে।
প্রশ্নঃ কৃষিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত কীটনাশক কোনটি?
উত্তরঃ অর্গানোফসফেট, পাইরেথ্রয়েড ও কার্বামেট।
প্রশ্নঃ ১ বিঘা জমিতে কত মণ ধান হয়?
উত্তরঃ ১৬ থেকে ১৮ মণ।
লেখকের মন্তব্য
আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে থিয়োভিট এর কাজ কি এবং থিয়োভিট এর দাম সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধদের মাঝে শেয়ার করুন।
জাতে করে আপনার মতো আপনাদের বন্ধুরাও উক্ত পোস্ট পড়ে উপকৃত হতে পারে। আর সর্বশেষ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url