উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমাদের দেশে প্রায় হাজার হাজার ব্যবসা রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে উৎপাদন মুখী ব্যবসা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে উন্নয়নের ক্ষেত্রে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা উৎপাদন মুখী ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে শুরু করতে পারেন না। তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টে আপনার জন্য। এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি সঠিক উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে সকল তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
তাই আপনি যদি সঠিক উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
আমরা অনেকেই আছেন যারা নতুন করে খুব ক্ষুদ্র পরিসরে অথবা বৃহৎ পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে চান। কিন্তু উৎপাদন মুখী ব্যবসা করার সঠিক উপায় না খুঁজে পাওয়ার কারণে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন না। ব্যবসা ছোট কথা বা বড় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার পাশাপাশি ব্যবসা করে মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে এবং দেশের বেকারত্বতা দূর হয়ে যাচ্ছে।
আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মুল বিষয় থাকবে উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া। তাই আপনি যদি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে চান এবং দেশের অর্থনৈতিক মান উন্নয়ন করতে চান তাহলে এই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আশা করি আপনি সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরে যাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া
বেশ কয়েকটি উৎপাদন মুখী ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে শুরু করতে পারেন।চলুন সেই ব্যবসা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।যেমন,
- কাগজ তৈরির ব্যবসা
- কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
- ঘরে বসে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা
- নুডুলস তৈরির ব্যবসা
- মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ তৈরির ব্যবসা
- জৈব সার তৈরির ব্যবসা
- কাঠের জিনিসপত্র তৈরি ব্যবসা
- আটা ময়দা তৈরি ব্যবসা
- অ্যালুমিনিয়ামের অথবা স্টিলের দরজা জানালা তৈরি ব্যবসা
- মরিচ হলুদের পাউডার তৈরির ব্যবসা
- টিসু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
কাগজ তৈরির ব্যবসা
প্রায় প্রাচীন কাল থেকে আমাদের দেশে কাগজের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে দিন দিন আরো কাগজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আপনি এই কাগজের চাহিদা পূরণ করার জন্য কাগজ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এটি কোন ক্ষুদ্র ব্যবসা নয়, এটি একটি বৃহৎ আকারের ব্যবসা। তাই এই ব্যবসাটি করতে গেলে অবশ্যই আপনার খুব বেশি পরিমাণে পুঁজির প্রয়োজন হবে। কাগজ তৈরীর ব্যবসায় আপনি প্রচুর পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।
স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচুর পরিমাণে কাগজের চাহিদা হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি কাগজের ব্যবসা শুরু করতে যান তাহলে কাগজ তৈরির মেশিন ক্রয় করুন এরপর নির্দিষ্ট জায়গা নির্বাচন করে কাঁচামাল সংগ্রহ করে কাগজ তৈরির ব্যবসা শুরু করে দিন। প্রথমত কাগজ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে কাগজ তৈরি মেশিন এবং অন্যান্য কাঁচামাল সামগ্রী কেনা সহ প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েকটি কাগজের চাহিদা রয়েছে যেমন, A2 , A3 এবং A4 সাইজ। আপনি এই তিন সাইজের কাগজ তৈরি করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য অথবা বিভিন্ন কাজের জন্য খাতা তৈরি করতে পারেন। এতে করে খুব তাড়াতাড়ি আপনি লাভজনক ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন।
কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
আপনি চাইলে কাগজ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর কারণ হচ্ছে, বিভিন্ন কাপড়ের দোকান থেকে শুরু করে সমস্ত শপিংমলে ব্যাপক আকারে কাগজের ব্যাগ প্রয়োজন হয়। আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে কাগজের ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনাদের আশেপাশে অনেক মানুষ দেখবেন যারা খবরের কাগজ ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ তৈরি করে উপার্জন করছেন। ওনারা করতে পারলে আপনি কেন করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
উক্ত ব্যবসায় বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। যেমন, কাগজের ব্যাগ তৈরীর ব্যবসাটি আপনি আপনার বাড়িতে বসেই সম্পন্ন করতে পারবেন এবং এর চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের কাগজের ব্যাগ তৈরি করতে পারেণ এবং তার সাথে হালকা পিচ বোর্ডের বাক্স তৈরি করতে পারেন।হালকা পিচ বোর্ডের বাক্স তৈরি করে বিভিন্ন ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান এবং বিভিন্ন শাড়ির দোকানে চাহিদা অনুযায়ী সারবরাহ করতে পারেন।
ঘরে বসে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা
আপনি যদি পরিপূর্ণ উপায়ে ঘরে বসে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি লাভবান হতে পারবেন। মূলত এর কারণ হচ্ছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ঘরে তৈরি করা বিস্কুটের বাজারে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি একবার মানুষের পছন্দমত বিস্কুট তৈরি করতে পারেন তাহলে খুব সহজে আপনি মানুষের মাঝে পরিচিতি লাভ করতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি ঘটাতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের এবং ভেজালমুক্ত মানসম্মত বিস্কুট তৈরি করতে হবে। অনেক সময় বাজারে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভেজালযুক্ত বিস্কুট তৈরি করে মার্কেট টা নষ্ট করে দেয়। সেই কারণে আপনাকে ভেজালমুক্ত বিস্কুট তৈরি করতে হবে। বিস্কুট তৈরীর ব্যবসায় আপনাকে শুরুতে বিস্কুট তৈরির জন্য ওভেন এবং কিছু কাঁচামাল ক্রয় করতে হবে।
এক কথায় ব্যবসা শুরু করতে আপনার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে প্রথমে। এর পরবর্তীতে আপনি ভাল মানের বিস্কুট তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের চায়ের দোকান এবং মুদির দোকানে আপনার তৈরি করা বিস্কুট গুলো সরবরাহ করে আপনার উপার্জন শুরু করতে পারবেন।
নুডুলস তৈরির ব্যবসা
আপনি চাইলে ঘরে বসে নুডুলস তৈরীর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে নুডুলস তৈরি করতে গেলে আপনি দুই ধরনের মেশিন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন,
- সেমি অটোমেটিক মেশিন
- অটোমেটিক মেশিন
আপনি চাইলে দুইটির মধ্যে যে কোন একটি মেশিন ক্রয় করে নুডুলস তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি মেশিনগুলো সম্পর্কে কোন তথ্য না জেনে থাকেন। তাহলে ইউটিউব অথবা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। আবার আপনি চাইলে অভিজ্ঞ মানুষ যারা আগে এই মেশিন ব্যবহার করেছে তাদের থেকেও মেশিন সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে যে, আমি এই মেশিনটি কোথা থেকে ক্রয় করব?
সে ক্ষেত্রে আমি বলব বাংলাদেশে অনেক আমদানিকারক রয়েছে যারা মেশিনগুলো বিক্রি করে থাকে। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে খুব সহজে মেশিন ক্রয় করে নুডুলস তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আমদানি কারকরা আপনাকে মেশিন বিক্রয় করার সাথে সাথে সকল পদ্ধতিগুলো বলে দিবেন। সেই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনি খুব সহজে আপনার ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ তৈরির ব্যবসা
যতদিন চলে যাচ্ছে ঠিক তত মোবাইল ফোন আমাদের মাঝে বিস্তার লাভ করছে। ধীরে ধীরে মানুষ মোবাইল ফোনের ওপর আসক্ত হয়ে পড়ছে। যার কারণে মোবাইল ফোনের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এক্সেসরিজ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মোবাইল ফোনের এক্সেসরিজ হিসেবে আপনি মোবাইল ফোনের ব্যাক কভার এবং গ্লাস প্রটেক্টর তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে। ব্যবসাটি শুরু করতে খুব বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র একটি মেশিন কিনে ব্যবসাটি অনায়াসে শুরু করতে পারবেন।
জৈব সার তৈরির ব্যবসা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। অর্থাৎ, ১০০ শতাংশ মানুষের মধ্যে ১০০ প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ পার্সেন্ট মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। সহজ ভাষায় বলতে গেলে কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে। আর কৃষি ক্ষেত্রে অন্যান্য সারের থেকে জৈব সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ সব মানুষই চায় তাদের জমিতে ভেজালমুক্ত এবং অর্গানিকভাবে তৈরি করা সার প্রয়োগ করতে। এক্ষেত্রে জৈব সার তৈরির ব্যবসা শুরু করে লাভবান হওয়ার ভালো একটি উপায় হতে পারে।
জৈব সার তৈরি করতে গেলে তেমন কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। সার তৈরি করার জন্য আপনি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় গর্ত করে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরি করুন। আপনি চাইলে খুব সহজে এই জৈব সারগুলো তৈরি করে বিভিন্ন লোকজনসহ বাজারে বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করতে পারবেন।
কাঠের জিনিসপত্র তৈরি ব্যবসা
আমরা আগে দেখতাম রান্না বা অন্যান্য কাজে মানুষ স্টিল অথবা সিলভার এর সামগ্রী ব্যবহার করত। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে কাঠের জিনিসপত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আপনি যদি ক্ষুদ্র উৎপাদন মুখী ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে কাঠের জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে সকল জায়গায় কাঠের জিনিসপত্র ব্যবহার করতে দেখা যায়।
তাই আপনি অল্প পুঁজিবি নিয়োগ করে কাঠের জিনিসপত্র তৈরি করে সেগুলো সরবরাহ করে ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আটা ময়দা তৈরি ব্যবসা
আপনি যদি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চান এবং আপনি চান যে খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে একটি লাভজনক উৎপাদন মুখী ব্যবসা করতে তাহলে আপনার জন্য আটা ময়দা তৈরি ব্যবসা লাভজনক হতে পারে। সাধারণত এই ব্যবসা করতে শুধুমাত্র একটি মেশিনের প্রয়োজন হয়। আপনি মেশিন থেকে আটা এবং ময়দা তৈরি করে। বিভিন্ন সাইজের প্যাকেটজাত করে সেগুলো বাজারজাত করে উপার্জন করতে পারেন।
আপনি চাইলে বাজারের বিভিন্ন দোকানে বড় বড় বস্তায় ভর্তি করে সরবরাহ করার পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন মুদি দোকানেও সরবরাহ করতে পারেন। অল্প পুজিতে এই ব্যবসা আপনাকে ভালো পরিমানে অর্থ এনে দেবে।
মরিচ হলুদের পাউডার তৈরির ব্যবসা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে রান্নার কাজে প্রতিনিয়ত আমরা হলুদ এবং মরিচ ব্যবহার করি। আর এখনকার মানুষ বাড়িতে মসলা তৈরি না করে বাজার থেকে রেডিমেড মসলা কিনে এনে রান্নার কাজ সম্পন্ন করে। তাই আপনি মরিচ এবং হলুদের গুড়া তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি বাড়িতে বসেই খুব সহজে উৎপাদন মুখী মরিচ এবং হলুদের পাউডার তৈরি করার ব্যবসা করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে হলুদ এবং মরিচ কিনে এনে সেগুলোর পাউডার তৈরি করুন। এর পরবর্তীতে সেই পাউডার গুলোকে প্যাকেট করে বাজারজাত করুন। আপনি চাইলে বাজারের বিভিন্ন দোকানে আপনার হলুদ এবং মরিচের পাউডার গুলি সরবরাহ করতে পারেন। এতে করে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
টিসু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা
পলিথিন আমাদের জন্য অথবা আমাদের সমাজের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকর আমরা সকলেই জানি। এই পলিথিন ব্যবহার করার কারণে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। যার কারণে মানুষ পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছে টিস্যু ব্যাগ। তাই আপনি মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য টিস্যু ব্যাগ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে যতদিন বৃদ্ধি পাবে মানুষ পলিথিনের পরিবর্তে টিস্যু ব্যাগ ব্যবহার করবে।
যার কারণে এটি আপনার জন্য একটি উৎপাদন কি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। আপনি যদি টিস্যু ব্যাগ তৈরি সম্পর্কে কিছু জেনে না থাকেন তাহলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে টিস্যু ব্যাগ তৈরি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। তাই আমি বলব দেরি না করে উৎপাদন মুখী ব্যবসা হিসেবে টিস্যু ব্যক্তির ব্যবসা শুরু করুন।
উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর FAQ
প্রশ্নঃ 10 হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
উত্তরঃ বেশ কয়টি ব্যবসা করা যায়।যেমন,
- টিফিন সার্ভিস
- আচারের ব্যবসা
- চা দোকান
- ইউটিউব চ্যানেল
- এবং মেহেদি পরানোর ব্যবসা
প্রশ্নঃ 5000 টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
উত্তরঃ বেশ কয়টি ব্যবসা করা যায়।যেমন,
- আয়রন সার্ভিস
- কোচিং সেন্টার
- পেয়িং গেস্ট থাকার ব্যবস্থা
- ব্লগিং ইত্যাদি
প্রশ্নঃ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কোন ধরনের ব্যবসা করা হয়?
উত্তরঃ একটি ইতিবাচক কাজের সংস্কৃতি প্রচারনা।
প্রশ্নঃ ১ লক্ষ টাকায় কি ব্যবসা করা যায়?
উত্তরঃ যেমন,
- খেলনার দোকান
- আইসক্রিম বিজনেস
- মোবাইল রিপেয়ারিং বিজনেস
- ষ্টেশনারী শপ
- বেবি ফুডের বিজনেস ইত্যাদি
প্রশ্নঃ কম পুজির ব্যবসা কি আছে?
উত্তরঃ আছে। যেমন,
- অনলাইন বিক্রয়
- ব্লগিং
- ড্রপশিপিং
- ফ্রিল্যান্সিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি
প্রশ্নঃ কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায়?
উত্তরঃ সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা অনুযায়ী।
প্রশ্নঃ গ্রামে কি ব্যবসা করা যায়?
উত্তরঃ বেশ কয়টি ব্যবসা করা যায়।যেমন,
- কাচামালের ব্যবসা
- মুরগি পালন
- মাছ চাষ
- ফার্মেসির ব্যবসা অথবা ওষুধের দোকান
- কোয়েল পাখির ব্যবসা
- সার, বীজ এবং কীটনাশকের ব্যবসা
- বিউটি পার্লারের ব্যবসা ইত্যাদি
লেখকের মন্তব্য
এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি বিভিন্ন উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে সঠিক তথ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর আপনি আপনার কাঙ্খিত উৎপাদন মুখী ব্যবসাটি বেছে নিতে পেরেছেন। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন।যাতে করে আপনার মত আপনার বন্ধুরাও তাদের উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে জেনে ব্যবসা শুরু করতে পারে।
আর এরকমই নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে আমাদের ওয়েব সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং সম্পন্ন পোস্টটি পড়ার পর আপনার মতামত কমেন্টে জানান ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url