সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
প্রিয় পাঠক, আপনি আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে সৌদি আরব যাওয়ার কথা চিন্তা করছেন। কিন্তু সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তাহলে আমি বলবো আপনি ঠিক জাইগাতেই আছেন। মূলত, আজকের পোস্টের মধ্যে আমি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, শর্তাবলী ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে সকল তথ্য তুলে ধরব।
যাতে করে আপনি নির্দ্বিধায় সমস্ত কিছু জেনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। তাই সঠিক তথ্য সম্পর্কে জানতে শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন।
ভূমিকা
সৌদি আরব একটি উন্নত দেশ। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের মানুষ তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমান। কারন, প্রতি বছর সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানি চাকরীর জন্য হাজার হাজার লোক নিয়োগ করে থাকেন। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন লাগরিক বিভিন্ন কোম্পানি ভিসা গ্রহন করে সৌদি আরবে চাকরী করেন। এখন ওনাদের মতো আপনিও আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য কোম্পানি ভিসা নিয়ে সৌদি আরব যেতে চাচ্ছেন।
কিন্তু, সঠিক কোম্পানি ভিসা আবদেন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে কিছুই জানেন না। চিন্তার কোন কারন নেই, আজকের পোস্টের মধ্যে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন এবং কি কি কাগজ লাগবে সকল বিষয়ে আপনাকে জানাবো। তাই সকল তথ্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। চলুন দেরি না করে জেনে নিয়া যাক।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন
সৌদি কোম্পানি ভিসা আবেদন করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কারন, সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করে ভিসার জন্য আবেদন করলে কখনোই আপনি ভিসা পাবেন না। তাই সঠিক পদ্ধতি মেনে আবেদন করে ভিসা পেতে নিচের উল্লেখ করা ধাপগুলো অনুস্মরণ করুন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার ধরন
আপনি যদি সৌদি কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে ভিসার ধরন সম্পর্কে জানতে হবে। সৌদি আরবের কোম্পানির ৩টি ভিসার ধরন রয়েছে। যেমন,
- নতুন ভিসাঃ নতুন ভিসা মূলত, সেসব কর্মীদের প্রদান করা হয় যারা প্রথম বারের মতো সৌদি আরবে কাজ করতে যায়।
- পুনর্নবীকরণ ভিসাঃ পুনর্নবীকরণ ভিসা মূলত, সেসব কর্মীদের জন্য যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং যারা ইতিমধ্যেই সৌদি আরবে কাজ করেছে।
- ট্রানজিট ভিসাঃ ট্রানজিট ভিসা মূলত তাদের প্রদান করা হয় যারা সৌদি আরবে কোম্পানিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের কাজ করতে যায়।
সৌদি কোম্পানি ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করার জন্য বেশ কয়েকটি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ে থাকে।সমস্ত কাগজগুলো দিয়ে সহজেই আবেদন করা যায়। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো,
আরো পড়ুনঃ দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
- বৈধ পাসপোর্টঃ প্রথমত, আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ ভিসার মেয়াদের চেয়ে কমপক্ষে ৬ মাস বেশি থাকতে হবে এবং পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্পিংয়ের জন্য কমপক্ষে ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজ এর ছবিঃ সদ্য তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ এর ছবি।
- কাজের অফারঃ আপনি যে কোম্পানিতে চাকরী করতে যাচ্ছেন সেই কোম্পানির নিয়োগ পত্র, কাজের ভূমিকা এবং অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রঃ আপনার সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজের প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি থাকতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটঃ আপনার পাশের অর্থাৎ, স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্টঃ ভিসার জন্য অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল টেস্ট করাতে হবে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
- ভ্রমণ বীমাঃ এমন ভ্রমণ বীমার প্রয়োজন হবে যে বিমা ভ্রমণের সময়কাল জুড়ে আপনাকে কভার করবে।
উপরে উল্লেখ করা সকল কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে আপনি খুব সহজে সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। তাই ভিসা গ্রহন করতে সঠিক কাগজ ব্যবহার করুন।
সৌদি কোম্পানি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
ভিসার আবেদন করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুস্মরণ করতে হবে। আমি ধাপগুলো নিচে উল্লেখ করলাম। যেমন,
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব ভিসা চেক অনলাইন বাংলাদেশ
- নিয়োগদাতার সাথে যোগাযোগ করাঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে সর্বপ্রথম নিয়োগদাতার সাথে যোগাযোগ করতে হবে। নিয়োগদাতা আপনাকে ভিসা আবেদন সম্পর্কিত সকল বিষয় জানিয়ে দিবে এবং আরও জানিয়ে দিবে কি কি কাগজপত্র লাগবে ও কাগজ সংগ্রহ করতে সাহায্য করবে।
- ভিসা আবেদন ফর্ম সংগ্রহঃ ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে নিদিষ্ট কোম্পানি ভিসার ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে।
- ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণঃ নিয়োগদাতার কাছে থেকে ফর্ম সংগ্রহ করার পর খুবি সাবধানতার সাথে ফর্মটি পূরণ করতে হবে সঠিক ভাবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিনঃ ফর্ম পূরণ করা হয়ে গেলে, প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র সহ নিয়োগদাতার কাছে জমা দিতে হবে।
- ভিসা ফি প্রদানঃ কোম্পানি ভিসার জন্য প্রযোজ্য ভিসা ফি পরিশোধ করতে হবে।
- ভিসার জন্য অপেক্ষাঃ সর্বশেষ, আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেলে ভিসা অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আপনার ভিসা অনুমোদন হয়ে যাবে। অনুমোদন হয়ে হয়ে গেলে নিয়োগদাতা আপনাকে ভিসা প্রদান করবেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি নাম
অনেকেরই সৌদি আরবের কোম্পানি নাম নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকে। এই অংশে আমি আপনাদের সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানি নাম জানাবো। চলুন নামগুলো জেনে নেয়া যাক। যেমন,
আরো পড়ুনঃ মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা বেতন কত
- আল মারাই কোম্পানি
- আল খায়ের কোম্পানি
- আলবদর কোম্পানি
- পেপসি কোম্পানি
- আরমকো কোম্পানি
- ইনিশিয়াল কোম্পানি
- জুসুর ইমদাদ কোম্পানি
- বলদিয়া কোম্পানি
- বিনলাদেন কোম্পানি
- সাসকো কোম্পানি
- আল ইমামা কোম্পানি
মূলত, ওপরে উল্লেখ করা কোম্পানিগুলো সৌদি আরবের জনপ্রিয় এবং স্বনামধন্য কোম্পানি নামে পরিচিত।
সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি
আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, সৌদি আরবে কোন কাজের চাহিদা বেশি। কারন, বেশি কাজের চাহিদা সম্পর্কে জেনে ওই কোম্পানি ভিসা গ্রহন করলে তাড়াতাড়ি কাজ পাওয়া যাবে এবং সেই অনুযায়ী ভিসা পরিকল্পনা করা যাবে। আমি নিচে বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজের নাম উল্লেখ করছি। যাতে করে আপনি জেনে খুব সহজে একটি ভিসা পরিকল্পনা শুরু করতে পারেন। যেমন,
- ড্রাইভিং
- ইলেকট্রিশিয়ান
- রেস্টুরেন্ট
- অটোমোবাইল সার্ভিসিং
- রংমিস্ত্রি
- কনস্ট্রাকশন
- প্লাম্বার
- সুপারমার্কেট
মূলত, ওপরের উল্লেখ করা কাজগুলোর সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে সৌদি আরবে।
সৌদি আরবে কোন কাজের বেতন বেশি
সাধারণত অনেক মানুষ তাদের আর্থিক সমস্যা দূর করতে এবং নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে বিভিন্ন কোম্পানি ভিসা গ্রহন করে সৌদি আরব যান। সেক্ষেত্রে আপনি যদি যাওয়ার আগে জানতে পারেন কোন কাজের বেতন বেশি তাহলে আপনার অনেক সুবিধা হবে। বেশি বেতনের কাজগুলো সম্পর্কে জানলে সেই কাজের ভিসা গ্রহন করে সহজেই বেশি টাকা ইনকাম করা যাবে।
- কোম্পানি ভিসাঃ ২০০০ - ৩০০০রিয়াল।
- ইলেকট্রিশিয়ানের বেতনঃ ১৩৫০ - ১৫০০ রিয়াল।
- টেকনিশিয়ানঃ ১৩০০ - ১৮০০রিয়াল।
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিকঃ ১২০০ - ১৫০০রিয়াল।
- অটো মোবাইলঃ ১৫০০ - ১৮০০রিয়াল।
- ফ্যাক্টরি শ্রমিকঃ ১৫০০ - ২০০০ রিয়াল।
- প্লাম্বারঃ ১৫০০ - ২০০০ রিয়াল।
- ওয়েল্ডিং শ্রমিকঃ ১২০০ - ১৬০০ রিয়াল।
- গৃহকর্মীঃ ১০০০ - ১৫০০ রিয়াল।
আমি ওপরে সৌদি আরবের সকল কাজের বেতন উল্লেখ করছি। আশা করি আপনি ওপরের অংশ দেখে সকল কাজের বেতনের ধারনা পেয়ে যাবেন।
সৌদি আরব কোন কোম্পানি ভিসা ভালো
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি ভিসা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ভিসার ধরন বেতন আলাদা হয়ে থাকে। আমি নিচে সৌদি আরব কোন কোম্পানি ভিসা ভালো সেই বিসয়ে সকল তথ্য তুলে ধরছি। যেমন,
- সৌদি কোম্পানি ভিসা।
- বিভিন্ন কোম্পানির ক্লিনার ভিসা।
- বিভিন্ন কোম্পানির আওতাধীন সুপার মার্কেট ভিসা।
- ড্রাইভিং ভিসা।
- হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট ভিসা ইত্যাদি।
মূলত, সৌদি আরবে এই কোম্পানি ভিসাগুলো সব থেকে ভালো। আপনি চাইলে এই ভিসা গুলো গ্রহন করতে পারেন।
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা চেক
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাড়িয়ে বিভিন্ন ভুয়া এজেন্সি এবং দালাল রয়েছে যাদের ফাঁদে পা দিয়ে অনেক মানুষ প্রতাড়িত হয় সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসার ক্ষেত্রে। ভুয়া এজেন্সি এবং দালাল লোকেরা ভিসা দেওয়ার নাম করে অনেক মানুষের লাখ লাখ টাকা মেরে দিচ্ছে। ঠিক এই কারনে অনেক ক্ষেত্রে মানুষ সৌদি আরব যাওয়ার পরেও ভিসার সমস্যার কারনে আবার দেশে ফিরে আসছেন।
তাই আমি বলবো আমি কোনো প্রকার দালাল ছাড়াই নিজেই আপনার ভিসা চেক করতে পারবেন। এতে করে আপনার ভিসার কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। আপনার ভিসা অনুমোদন হয়েছে কিনা আপনি সহজেই তা দেখতে পাবেন।
ভিসা চেক করার জন্য তাদের নিদিষ্ট ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমন, (https://visa.mofa.gov.sa)।
আপনি খুব সহজে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ভিসার সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। সকল তথ্য জানতে সবার প্রথমে, আপনার আপনার পাসপোর্ট নাম্বার প্রদান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার ভিসা টাইপ সিলেট করতে হবে। এর পর একটি ক্যাপচা কোড দিবে ওইটা ঠিকমত পূরণ করতে হবে। এবার আপনি সাবমিট বাটনে ক্লিক করবেন তাহলেই আপনি খুব সহজে আপনার ভিসার সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। তাহলে আশা করি আপনি সম্পূর্ণ বিষয় বুঝতে পেরেছেন।
সৌদি আরব যেতে কত টাকা লাগে
আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে আমি সৌদি আরব যাবো আমার কত টাকা খরচ হবে। উত্তরে আমি বলবো যে, আগে সৌদি আরব যেতে কম টাকা খরচ হলেও, বর্তমানে টাকার পরিমান অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমান সময়ে সৌদি আরব যেতে সর্বনিম্ন, ৩ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। সাধারণত সৌদি কাজের ভিসার মূল্য ৫০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যান।
সেক্ষেত্রে, ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এছাড়াও, আপনি যদি মেডিকেল খরচ, ভ্যাকসিনেশন, বিএমইটি এবং বিমান টিকিটের টাকা সহ জেতে চান তাহলে প্রায় ৪ লাখ থেকে ৪.৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। মূলকথা, সৌদি আরবে জেতে বেশি টাকা লাগে না। কিন্তু, তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য দালাল বা এজেন্সির কাছে গেলে বেশি টাকা খরচ করতে হয়।
সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে
আমাদের সবার প্রশ্ন থাকে যে, সৌদি আরব যেতে কত বছর বয়স লাগে। তাহলে আমি বলি যে, যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার বয়স পরিপূর্ণ হতে হবে। বর্তমানে সৌদি আরব ভিসার আবেদন করতে সর্বনিম্ন বয়স ২১ বছর হতে হবে। অর্থাৎ, এর থেকে কম বয়সী কেও ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাহলে এর থেকে বোজা গেল যে, সৌদি আরব যেতে সর্বনিম্ন ২১ বছর বয়স লাগে।
সচরাচর জিজ্ঞাশিত প্রশ্নের উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের আয়তন কত?
উত্তরঃ ২১,৫০,০০০ বর্গ কিমি।
প্রশ্নঃ কোম্পানি ভিসা কী?
উত্তরঃ বিদেশে কাজ করার অনুমতিপত্র।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের পূর্বের নাম কি ছিল?
উত্তরঃ পূর্ব প্রদেশ (সৌদি আরব)।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের সবচেয়ে পবিত্র ধর্মীয় স্থান কোনটি?
উত্তরঃ মক্কার আল-মসজিদ আল-হারাম ও মদিনার আল-মসজিদ আল-নবাবি।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের সারাকো কোম্পানির বেতন কত?
উত্তরঃ সাধারণত ৬০০ রিয়াল।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের রাষ্ট্র কয়টি?
উত্তরঃ ১৩ টি।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের প্রদেশের নাম কি?
উত্তরঃ ৪ টি প্রদেশ এর নাম। যেমন,
- আসির প্রদেশ
- আল হাসা' প্রদেশ
- হেজাজ প্রদেশ
- এবং নজদ প্রদেশ।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ টু সৌদি আরব বিমানে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ সরাসরি প্রায় ৫ - ৬ ঘণ্টা সময় লাগে।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবে চাকরির বয়সসীমা কত?
উত্তরঃ ৬০ বছর।
প্রশ্নঃ ভিসার আবেদন ফরম কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ কনস্যুলার ইলেকট্রনিক অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ওয়েবসাইটে।
প্রশ্নঃ ইতালি যেতে কত বছর বয়স লাগে?
উত্তরঃ ১৮ বছর।
প্রশ্নঃ কাজের ভিসা দিয়ে কি কি করা যায়?
উত্তরঃ যেকোনো নিয়োগকর্তার সাথে কাজ করা যায়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে কোন দেশের কাজের ভিসা পাওয়া সহজ?
উত্তরঃ এস্তোনিয়া।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের ১ রিয়াল বাংলাদেশে কত টাকা?
উত্তরঃ ৩২.৩৮৫২ টাকা।
প্রশ্নঃ সৌদি আরবের দুটি পবিত্র শহর কোনটি?
উত্তরঃ যেমন,
- মক্কা
- এবং মদিনা।
লেখকের মন্তব্য
আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টের মধ্যে আমি সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন সংক্রান্ত সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে আশা করি আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পেরেছেন। এই সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার পর যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধদের মাঝে শেয়ার করুন।
যাতে করে আপনার মতো আপনাদের বন্ধুরাও উক্ত পোস্ট পড়ে উপকৃত হতে পারে। আর সর্বশেষ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url